বৈষ্ণোদেবী রোপওয়ে প্রকল্প ঘিরে জীবিকা হারানোর আশঙ্কা! ধুন্ধুমার কাটরায়

0
2

মুষ্টিমেয় শ্রেণির ফায়দা তোলায় বিশ্বাসী কেন্দ্রের সরকারের হঠকারিতায় থমকে বৈষ্ণোদেবী (Vaishno Devi) যাত্রা। রোপওয়ে প্রকল্পের (ropeway project) কারণে কাজ হারানোর আশঙ্কায় বিক্ষোভ সোমবার চূড়ান্ত আকার নেয়। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলাও চালানো হয়। পরে লেফটেন্যান্ট গভর্নর ও জেলাশাসকের আশ্বাসে বিক্ষোভ ও ধর্মঘট ওঠে। স্বাভাবিকভাবেই অবিবেচকভাবে রোপওয়ে প্রকল্প চালু করা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

সম্প্রতি বৈষ্ণদেবী মন্দির (Vaishno Devi temple) দ্রুত পৌঁছানোর পথ হিসাবে কাটরা থেকে রোপওয়ে প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রের সরকার। ২২ নভেম্বর থেকে সেই প্রকল্পের কাজ শুরু হতেই শুরু হয় বিক্ষোভ। স্থানীয় ডুলিওয়ালা, ঘোড়াওয়ালা ও ব্যবসায়ীদের দাবি রোপওয়ে চালু হলে তাঁদের ব্যবসা মার খাবে। কাটরা (Katra) থেকে শুরু হয় বৈষ্ণদেবীর জন্য ট্রেকিং। ফলে এখান থেকে বিপুল সংখ্যায় স্থানীয় যুবক ডুলি ও ঘোড়ার পিঠে তীর্থযাত্রী ওঠানামার কাজ করেন। এখান থেকে রওনা দেওয়ার কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও যথেষ্ট লাভবান হন। কিন্তু রোপওয়ে হলে সরাসরি লাথি পড়বে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ও বৈষ্ণোদেবী তীর্থের সঙ্গে যুক্ত স্থানীয় যুবকদের।

প্রকল্পের কাজ শুরুর পরেই রবিবার থেকে ধর্মঘটের পথে যায় স্থানীয় ডুলিওয়ালা, ঘোড়াওয়ালারা। ফলে কাটরায় (Katra) আটকে পড়েন তীর্থযাত্রীরা। সোমবার ফের শুরু হয় বিক্ষোভ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর (CRPF) একটি গাড়ি ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গেলে তার উপর হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা। পাথরও ছোঁড়া (stone pelting) হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে যান জেলাশাসক রইসি মহাজন। তিনি আশ্বাস দেন স্থানীয়দের সঙ্গে কথা না বলে রোপওয়ে প্রকল্পের কাজ হবে না। সেই সঙ্গে কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহাও জানান কারো জীবিকার ক্ষতি হয় এরকম কোনও কাজ করা হবে না। এরপর ধর্মঘট তুলে নেন ব্যবসায়ীরা।