বিরোধীদের নিশানায় গুন্ডামি তোপ, নিজে সংসদে জবাব দিতে নারাজ মোদি

0
2

শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই ঝাঁঝাল সুর প্রধানমন্ত্রীর গলায়। বিরোধীদের দিকে ছুঁড়লেন গুন্ডামির তোপ। কিন্তু বিরোধীদের দাবি মেনে তিনি নিশ্চিত করলেন না, আদানি-কাণ্ড ও মণিপুর ইস্যুতে তিনি সংসদে জবাব দেবেন। ভুল শুধরে মণিপুরে যাবেন। উল্টে বিরোধীদের আক্রমণ শানাতে শোনা গেল তাঁকে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অভিযোগ, মুষ্টিমেয় কিছু লোক নিজেদের স্বার্থে গুন্ডামি করে সংসদকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রীর এই বিবৃতিতে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নিজে সংসদে সুস্থ আলোচনার আবেদন জানাচ্ছেন কিন্তু বিরোধীদের দাবি মানছেন না। তিনি বলছেন রাজনৈতিক দল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ফায়দা খোঁজার চেষ্টা করছে। এদেরকে দেশের জনতা ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। তাঁর কথায়, সংসদের কার্যকলাপ বন্ধ করে লাভের লাভ কিছুই হয় না। যাঁরা এই কাজ করেন, জনতা তাঁদের থেকে দূরে সরে যান। বার বার জনতার কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়েও তাঁরা শোধরান না। এই সব লোকেদের সাজা জনতা ভোটের বাক্সে দিয়ে দেয়। যাঁরা দেশের গণতন্ত্রকে সম্মান করেন না, তাদেরকেও জনতা সম্মান করেন না। এঁরা নিজেরাও কাজ করেন না, অন্যদেরও করতেও দেন না। তাই বিরোধীদের কাছে অনুরোধ করব জনগণের আবেগকে সম্মান করুন। কিন্তু বিরোধীরা দেশের জনগণের সমস্যাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। পাল্টা বিরোধীদের জবাব, প্রধানমন্ত্রীই দেশের সমস্যা নিয়ে ভাবছেন না। যদি ভাবতেন, তাহলে আদানি-কাণ্ড এবং মণিপুর ইস্যুতে সংসদে জবাব দিতেন। এক বছরেও বেশি সময় করে জ্বলছে মণিপুর, তিনি বিদেশে সংবর্ধনা না নিয়ে সবার আগে মণিপুরছ ছুটতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। দেশের জলন্ত ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর জবাব চাওয়াকে গুন্ডামি বলে চালাতে চাইছেন তিনি। জনতা ওনাকেই জবাব দেবেন।

দেশের সমস্যার কথা এড়িয়ে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের কাছে ভারতের সম্মানে প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, আজ গোটা বিশ্ব ভারতকে দেখছে। ভারত আজ যে উচ্চতায় দাঁড়িয়ে রয়েছে তা সত্যিই গর্বের। এখান থেকে বার্তা যাক গোটা বিশ্বে। আসুন আমরা হারিয়ে যাওয়া সময়ের জন্য অনুতপ্ত হই। অধিবেশনকে ফলপ্রসূ করে তুলি, যা বিশ্বব্যাপী ভারতের মর্যাদাকে শক্তিশালী করবে।

এদিকে এবারের অধিবেশনে বিরোধীদের অন্যতম অস্ত্র হতে চলেছে আদানির ঘুষ কেলেঙ্কারি, মণিপুর, যৌথ সংসদীয় কমিটিতে গায়ের জোরে নিয়ম ভেঙে ওয়াকফ বিল পাস করিয়ে নেওয়ার মতো বিষয়গুলি।