দলবিরোধী কাজ, এমন কাজ বা মন্তব্য যার জেরে দল অস্বস্তিতে পড়ে- তা করলে এবার শাস্তির মুখে পড়বেন তৃণমূল (TMC) সদস্য-সদস্যারা। সোমবার তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে এ বিষয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন বৈঠকের পরে সাংবাদিকের মুখোমুখি হন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। তিনি জানান, “দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে এখন থেকে কেউ যা খুশি মন্তব্য করতে পারবেন না। কাউকে তিনবার শোকজের পর সাসপেন্ড করা হবে।” শৃঙ্খলারক্ষায় তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটি সংসদীয়, একটি পরিষদীয় এবং দলীয় স্তরে। কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ উঠলে তাঁকে শোকজ নোটিশ দেওয়া হবে। সেটার জবাব দিতে হবে। পর পর তিনটি শোকজ নোটিশের পরে ওই সদস্যকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হবে।
সোমবার তৃণমূলের (TMC) জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য সংখ্যা ২২ থেকে সদস্য বেড়ে হল ২৭। শৃঙ্খলারক্ষায় তিনটি আলাদা কমিটি তৈরি করা হল।
একনজরে তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি
সংসদীয়:
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষদস্তিদার, কল্যাণ, নাদিমুল হক
বিধানসভা:
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, নির্মল ঘোষ, দেবাশিস কুমার, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ফিরহাদ হাকিম
দলীয় স্তরে:
সুব্রত বক্সি, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, সুজিত বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, “দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে এখন থেকে দলের কেউ যখনতখন যা খুশি মন্তব্য করতে পারবেন না। কাউকে তিনবার শোকজের পর সাসপেন্ড করা হবে।” বিভিন্ন ইস্যুতে বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়িয়েছেন দলের নেতা, মন্ত্রী, সাংসদরা। আর জি কর-কাণ্ড থেকে শুরু করে নানা সাম্প্রতিক ইস্যুতে শাসকদলের অনেক নেতৃত্বের নানা আলটপকা মন্তব্যে বিড়ম্বনা বেড়েছে দলের। বেশি কয়েকটি কাণ্ডে নামও জড়িয়েছে কারও কারও। সেসব বন্ধ করে দলের ভাবমূর্তির উন্নতিতে শৃঙ্খলারক্ষায় জোর দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ভুল করলে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হবে ঠিকই, কিন্তু বারবার একই ভুল হলে বরদাস্ত করা হবে না।