সিপিএম ০, আইএসএফ ১! ফের হাড়োয়ায় টেক্কা, ২০২৬-এর আগে চাপ বাড়ছে বাম-জোটে

0
3

সিপিএম ০, আইএসএফ ১। তারপর আবার হাড়োয়াতেও বিজেপিকে হারিয়ে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছে নৌশাদ সিদ্দিকীর দল। এরপর ২০২৬ নির্বাচনের আগে চাপ বাড়ছে সিপিএমের। বৃহত্তর বাম জোটে সিপিএমের কথাই এখন আর শেষ কথা হবে না। ২০২৬-এর রণকৌশল নিয়ে এখন থেকেই চিন্তা করতে শুরু করে দিয়েছে আইএসএফ। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের কাছে আরও বেশি আসনের দাবিও উঠতে শুরু করে দিয়েছে উপনির্বাচনের ফলাফলের পর। আইএসএফ এবার আর স্বল্পে সন্তুষ্ট হবে না।

বিজেপিকে হারিয়ে হাড়োয়ায় দ্বিতীয় হয়ে মানরক্ষা করেছে আইএসএফ। হাড়োয়া বিধানসভা উপনির্বাচনে তারা সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট পেয়েছে। সেখানে সিপিএম বাকি পাঁচ আসনের একটাতেও ১০ শতাংশ পার করেত পারেনি। সর্বোচ্চ তালডাংরায় সিপিএম প্রার্থী ১০ শতাংশের আশপাশে ভোট পেয়েছেন। তাই সিপিএম শূন্যের আবহে এখন থেকেই বাম-জোটের আকাশে কালো মেঘ দেখতে শুরু করেছে।

প্রশ্ন উছে পড়েছে বাম-জোটের অস্তিত্ব নিয়েও। কেননা আইএসএফ ছাড়া বাকিরা কেউই উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেনি। কংগ্রেসের সঙ্গ ছাড়ার পর এবার উপনির্বাচনে বামফ্রন্চ হিসেবে লড়েছিল তারা। একমাত্র আইএসএফ তাদের সঙ্গী হয়েছিল। কিন্তু ভোট ময়দানে দেখা যাচ্ছে উপনির্বাচনে ৬টি কেন্দ্রেই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে বামফ্রন্ট মনোনীত ও সমর্থিত প্রার্থীদের। লিবারেশন ও বামফ্রন্টের শরিক দলগুলির অবস্থা শোচনীয়। সিতাইয়ে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী পেয়েছেন দেড় শতাংশ ভোট, মাদারিহাটে আরএসপি আড়াই শতাংশেরও কম। আর নৈহাটিতে লিবারেশনের প্রার্থী পেয়েছেন ছয় শতাংশ ভোট। মেদিনীপুরে সিপিআই প্রার্থীর ভোট সাড়ে পাঁচ শতাংশ। তাই মন্দের ভালো আইএসএফ। ফেল করলেও বাম-শরিকদের মধ্যে তারা সবার উপরে, এমনকী সিপিএমেরও উপরে। এই পরিস্থিতিতে নৌশাদ সিদ্দিকি বলছেন, ২০২৬ সালের জোট নিয়ে ভাবতে হবে। তৃণমূল স্তরে জোট না হলে সমঝোতার কোনও মানে নেই। বামফ্রন্টের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলা দরকার। সিপিএম ভেবেছিল আরজি কর ইস্যু তাদেরকে উপনির্বাচনে ফায়দা দেবে, কিন্তু দেখা যাচ্ছে সিপিএম ডাহা ফেল। না দল হিসেবে, না জোট হিসেবে কিচ্ছু করতে পারেনি বামেরা।

আরও পড়ুন- জমিয়ে শীতের আমেজ রাজ্যে, বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই