সরকারি অনুদানে চলা প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কর্মচারী, শিক্ষক, আধিকারিকরা এখন থেকে জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড বা জিপিএফ তহবিলে বছরে ৫ লক্ষ টাকার বেশি জমা করতে পারবেন না। রাজ্য অর্থ দফতর এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সরকারি কর্মী ও আধিকারিকদের জন্য এই নির্দেশ গত বছরই জারি করা হয়েছিল। এবার সরকারি অনুদান প্রাপ্ত সংস্থার কর্মীদের জন্য একই নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে। সরকারি অনুদানে চলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী, পুরসভা-পঞ্চায়েতের কর্মী, আধিকারিক প্রভৃতি এখন থেকে প্রতি আর্থিক বছরে ৫ লক্ষ টাকার বেশি জমাতে পারবেন না। কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়মের পরিপ্রেক্ষিতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হচেছ বলে জানানো হয়েছে।

রাজ্য কর্মীদের ক্ষেত্রে মূল বেতনের ন্যূনতম ৬ শতাংশ হারে টাকা কেটে জিপিএফ তহবিলে জমা করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু কোনও কর্মী চাইলে মূল বেতনের পুরোটাই জিপিএফ তহবিলে জমা দিতে পারেন। আবেদনের ভিত্তিতে বেতন থেকে সেই অতিরিক্ত টাকা কেটে জিপিএফ তহবিলে জমা পড়ে যায়। যেহেতু ব্যাঙ্ক-ডাকঘরের তুলনায় জিপিএফে বেশি সুদ পাওয়া যায়, তাই দীর্ঘ মেয়াদে ভবিষ্যতের জন্য টাকা জমাতে কর্মীদের একটা বড় অংশ বেশি পরিমাণে বেতন থেকে টাকা কাটিয়ে জিপিএফে জমা দেন।

এবার বেশি টাকা রাখলেও কেউ তা একটি আর্থিক বছরে ৫ লক্ষর বেশি দিতে পারবেন না। নতুন ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনের প্রবীণ নেতা মনোজ চক্রবর্তী বলেন, এতে সমতা এল। শিক্ষক, সরকারি কর্মী সবার বেতনের টাকা সরকারি ট্রেজারি থেকে আসে। তাই দু’রকম নিয়ম থাকা ঠিক নয়। অর্থদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাঁদের ইতিমধ্যেই চলতি আর্থিক বছরে জিপিএফ তহবিলে দেওয়া টাকা ৫ লক্ষ হয়ে গিয়েছে তাঁদের বেতন থেকে এই খাতে ট্রেজারি আর টাকা কাটবে না। সর্বোচ্চ সীমা ছুঁতে যাঁদের এখনও বাকি আছে, তাঁদের ৫ লক্ষ টাকার হিসেব করে বাকি মাসগুলিতে টাকা কাটতে হবে।
আরও পড়ুন- দায়িত্ব আরও বাড়ল তৃণমূলের, ৩০২৬-এও আসবে না বিজেপি! কটাক্ষ কুণালের


 
 
 
 
































































































































