ঘণ্টায় ৯ কিমি বেগে চলে ট্রেন! ভারতের সবথেকে ধীরগতির ট্রেন চলে কোন রেলপথে, জানেন

0
1

বুলেট ট্রেনের যুগ এখন। ভারতে আবার চালু হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। সেমি হাইস্পিড ট্রেন। এই যুগেও কি না ট্রেনের গতিবেগ ঘণ্টায় ৯ কিমি! হাঁটার মতো বেগে চলে ভারতের সবথেকে ধীরগতির ট্রেন। সাইকেলও পেরিয়ে যেতে পারে অবলীলায়। তবে কী জানেন, কোনও বিরক্তি নেই এই যাত্রাপথে!

ট্রেনের বুলেট গতি নিয়ে যখন সর্বত্র আলোচনা, এই সময়েও দেশে এমন ট্রেন চলে! পাঁচ ঘণ্টায় মাত্র ৪৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়! কোথায় চলে সেই ট্রেন? আর সেই ট্রেনের যাত্রায় কেনই বা বিরক্ত হয় না মানুষ? তবে জানুন সেই কাহিনি। ভারতের সবথেকে ধীরগতির ট্রেনটি রয়েছে নীলগিরি মাউন্টেন রেলওয়ের হাতে। দেশের দ্রুততম ট্রেন এই সবথেকে ধীরগতির ট্রেনের থেকে ১৮ থেকে ২০ গুণ বেশি গতিতে চলে। এই ট্রেনটি কোথায় চলে, তা জানলেই আপনি আশ্চর্য হয়ে যাবেন। আপানার গতির দুনিয়ায় ধীরগতির ট্রেন নিয়ে বিরক্তিও কেটে যাবে। উল্টে আপনার ইচ্ছা হবে, একবার এই ট্রেনের সওয়ারি হতে। এই ট্রেন চলে নীলগিরি পর্বতমালার মধ্য দিয়ে। খাড়া পাহাড়ি রেলপথে নীলগিরি পাহাড়ে পাদদেশের শহর মেট্টুপালায়ম থেকে শুরু হয় এই অবিস্মরণীয় রেলযাত্রা। পাহাড়ি শহর উটি পর্যন্ত চলে ট্রেনটি। একেবারে স্বপ্নের মতো মনে এই রেলযাত্রাকে।

সড়কপথে অনেক কম সময়ে লাগলেও মেট্টুপালয়ম থেকে উটির এই রেলযাত্রা আপনাকে দেবে এক স্বর্গীয় অনুভূতি। কেন ট্রেনে এত বেশি সময় লাগে, তাও জেনে নিন। আসলে ট্রেনটি যেমন খাড়াই পথে যায়, তেমনই ১৬টি সুড়ঙ্গ, ২৫০টি সেতু ও ২০৮টি বক্ররেখা অতিক্রম করে গন্তব্যে পৌঁছয়। তাই এত ধীরগতি!
ট্রেনটি সকাল ৭টা ১০ মিনিটে মেট্টুপালায়ম থেকে ছাড়ে। উটিতে পৌঁছয় ১২টায়। ফিরতি যাত্রায় উটি থেকে ছাড়ে ২টোয়। বিকেল ৫.৩৫ মিনিটে মেট্টপালায়মে পৌঁছয়। এই যাত্রাপথে ট্রেনটি কুনুর, ওয়েলিংটন, আরাভানকাডু, কেটি ও লাভডেলের মধ্য দিয়ে যায়। ইউনেস্কোর ওয়েবসাইট অনুযায়ী নীলগিরি মাউন্টেন রেলওয়ে প্রথম ১৮৫৪ সালে প্রস্তাবিত হয়েছিল। কিন্তু কঠিন ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এর কাজ শুরু করতে দেরি হয়। কাজ শুরু হয় ১৮৯১ সালে। ১৯০৮ সালে এই মিটারগেজ সিঙ্গল রেলপথটি সম্পন্ন হয়। ট্রেনটিতে প্রথম শ্রেণির ১৬টি, দ্বিতীয় শ্রেণির ২১৪টি আসন রয়েছে।

আরও পড়ুন- ৯ ডিসেম্বর মেরিটের ভিত্তিতে ওবিসি মামলার শুনানি, জানালো শীর্ষ আদালত