মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঠান্ডা লড়াই প্রকাশ্যেই তীব্রতর হচ্ছে। সরকার দাবি করছে, মূল্যবৃদ্ধি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। এবং এর সঙ্গে আর্থিক গতি বা রেপো রেটের সম্পর্ক নেই। কিন্তু এই ফর্মুলা মানতে নারাজ আরবিআই। দ্ব্যর্থহীন ভাষায় সরকারের দাবির বিরোধিতা করে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়ে দিলেন, মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করাই অর্থনীতির গতিবৃদ্ধির প্রধান দাওয়াই। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে এলে মানুষ সঞ্চয় করতে পারবে। আর হাতে টাকার জোগান থাকলে বাড়বে ক্রয়ক্ষমতা। একমাত্র তাহলেই অর্থনীতি এবং বাজার গতি পাবে।এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদরাও।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সম্মেলনের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আরবিআই গভর্নর। সেখানেই তিনি বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করাই অর্থনীতির গতিবৃদ্ধির মূল দাওয়াই। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে এলে মানুষ সঞ্চয় করতে পারবে। আর হাতে টাকার জোগান থাকলে বাড়বে ক্রয়ক্ষমতা। একমাত্র তাহলেই অর্থনীতি এবং বাজার গতি পাবে। এতে বলা যায় কেন্দ্রকে আরও একবার খোঁচা দিলেন আরবিআই গভর্নর।
লোকসভার তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে মোদি সরকার ব্যার্থ।আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের বক্তব্য সঠিক। তৃণমূল কংগ্রেস সংসদে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে নোটিশ দিয়েছে। আমি ফের আসন্ন সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে নোটিশ দেব।লোকসভার তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এই কেন্দ্রীয় সরকার গা করে না। কারণ এই সরকার ক্ষেত মজুর কৃষকদের পক্ষে নয় পুজিপতিদের সাহায্য করে। এই সরকার গরিব,মধ্যবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য নয় মুষ্টিমেয় শিল্পপতি ও পুজিপতিদের জন্যই কাজ করছে।
শক্তিকান্ত দাস সরাসরি মূল্যবৃদ্ধিকে স্থিতিশীল রাখতেই বলেছেন। তাহলেই গরিবের বোঝা কমবে। মূল্যবৃদ্ধির হার অগ্রাহ্য করলে আবার সব হিসেবে গোলমাল হবে। আর্থিক বৃদ্ধির হার নিয়ে গভর্নর সন্তুষ্ট হলেও বর্তমানে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি তাঁকে উদ্বেগেই রেখেছে। আরবিআই গভর্নরের সাফ কথা, খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি অবিলম্বে ৫ শতাংশের নীচে নামাতেই হবে।