ভোট বৈতরণী পারে পেশাদার কাণ্ডারীর খোঁজ! ‘রাজনৈতিক বিশ্লেষক‘ চেয়ে বিজ্ঞাপন CPIM-এর

0
2

নির্বাচন আসে নির্বাচন যায়, বামেদের শূন্যের খরা কাটে না। বিধানসভা-লোকসভায় একটি আসনও মেলেনি। শুধু তাই নয়, বেশির কেন্দ্রেই জামানত জব্দ হয়েছে বাম প্রার্থীদের। গত লোকসভা নির্বাচনে ২টি মাত্র আসনে জামানত রক্ষা করতে পেরেছিল CPIM। এইবার ভোটকুশলী নিয়োগ করতে বিজ্ঞাপন দিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md Selim) নিজের ফেসবুক পেজে এই মর্মে বিজ্ঞাপন দিলেন। তাঁর কথায় বাংলায় পরিবর্তন আনতে না কি তাঁরা লোক খুঁজছেন। অর্থাৎ সেলিমরা কার্যত স্বীকার করে নিচ্ছেন যে ভোট বৈতরণী পার করতে তাঁদের দলে কাণ্ডারীর অভাব পড়েছে।

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক ফেসবুকে লিখেছেন, “বাংলায় পরিবর্তন আনতে শক্তিশালী (!) দলে যোগ দিন।“ এই বিজ্ঞাপনের শীর্ষক “লোক খুঁজছি“। প্রথম পদটিই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের। অর্থাৎ ২০২৬-এর নির্বাচনের আগে প্রশান্ত কিশোরের মতো কোনও পেশাদারকে পাশে চাইছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। দলে যাঁরা আছেন, সে পক্ককেশ বিমান বসুই (Biman Basu) হোন বা তরুণ নেত্রী ‘ক্যাপ্টেন‘ মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়- তৃণমূলের (TMC) সঙ্গে বাংলায় লড়াই করতে এঁদের কারও রণকৌশলই যে কাজে আসছে না- তা ভালোই বুঝেছে সিপিএম। ফলে এখন পেশাদারিত্বে আস্থা রাখতে চাইছে। যদিও, প্রকাশ্যে এই কথা স্বীকার করতে চাননি কমরেড সেলিম। বিজ্ঞাপন প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম দেখার জন্যেই না কি এই নিয়োগ। তবে, ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখেই যে এই পদক্ষেপ সেটা মেনে নিয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ছাড়াও বিজ্ঞাপন গণজ্ঞাপন, গ্রাফিক ডিজাইনিং, ডিজিটাল মার্কেটিং-সব ক্ষেত্রেই নিয়োগ করা হবে। রাজনৈতিক শিক্ষানবিস পদেও নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।

এই বিজ্ঞাপনের নীচে অবশ্য অনেকেই এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। অনেকর মতে, এই সিদ্ধান্ত আগে নিলে এতদিন খালি হাতে থাকতে হত না। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিবর্তনে চিরকালই অনীহা সিপিএমের (CPIM)। সে রাজ্যে কম্পিউটার আনাই হোক, বা বিদেশী ব্র্যান্ডের নরম পানীয়- প্রথম থেকে বাধা দেয় বামেরা। পরে অবশ্য সেই পরিবর্তন মেনে নিতে হয়। অনেকের মতে, এক্ষেত্রেও পেশাদারি পরামর্শ আগে গ্রহণের সিদ্ধান্তে নিতে পারেননি কমরেডরা। তবে, এই পদক্ষেপ বামেদের অক্সিজেন যোগাবে কি না, তার উত্তর দেবে আগামী নির্বাচন।