যদি আপনি কখনও MRI স্ক্যান করিয়েছেন, তবে আপনি হয়তো ৪-৫ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন! তবে আপনি জানেন কি, দেশের সবচেয়ে বড় হাসপাতালগুলির মধ্যে অন্যতম দিল্লি AIIMS- এ MRI স্ক্যান করানোর জন্য রোগীদের তিন বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে। সম্প্রতি, একজন রোগী জয়দীপ দে AIIMS-এ তার ডান পা-র চোটের জন্য MRI স্ক্যান করাতে ২০২৭ সালের তারিখ পেয়েছেন।

জানা গিয়েছে, এই দীর্ঘ অপেক্ষার সময়কাল একমাত্র নয়, কারণ অনেক অন্যান্য রোগীও MRI স্ক্যান এবং অন্যান্য পরীক্ষার জন্য একই ধরনের দেরীর সম্মুখীন হচ্ছেন। প্রসঙ্গত, প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার রোগী AIIMS-এর আউটডোর ডিপার্টমেন্টে আসেন। এর মধ্যে প্রায় ১০% রোগী আলট্রাসাউন্ড, এক্স-রে এবং MRI স্ক্যানের মতো ডায়াগনস্টিক ইমেজিং প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হয়। এই প্রক্রিয়াগুলির জন্য অপেক্ষার সময়কাল ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়, অনেক রোগীকে ছয় মাস থেকে তিন বছর পর্যন্ত অ্যাপয়েন্টমেন্টের তারিখ দেওয়া হয়।

দিল্লি AIIMS- এ MRI স্ক্যান করাতে যাওয়া ওই রোগী জয়দীপ দে জানিয়েছেন যে তিনি BPL (গরিবী সীমার নিচে) রোগী হওয়ার কারণে তার জন্য দিল্লি-এনসিআর-এর কোনও ভালো বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো অসম্ভব, যেখানে MRI স্ক্যানের খরচ ১৮ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে হতে পারে। তিনি বলেছেন, “আমার কাছে এত টাকা নেই। আমি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকাও দিতে পারি না।” যদিও AIMS এর এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, “তিন বছরের অপেক্ষা খুবই বেশি।” তিনি পরামর্শ দিয়েছেন যে হাসপাতালকে একটি এমন সিস্টেম তৈরি করা উচিত, যাতে রোগীরা জানতে পারে তাদের পালা কখন আসবে।
আরও পড়ুন- কিডস টেকওভার: বিশ্ব শিশু দিবসে ইউনিসেফের উদ্যোগে বিশেষ কর্মসূচি রাজ্যে






































































































































