সকাল সকাল ধুন্ধুমার ভিক্টোরিয়ায়।আর্মি, নেভি, সিআইএসএফ হাজির। ঘড়ির কাঁটা সবে নয়ের ঘরে।শীতের ঘুম ভেঙে সবে জেগে উঠেছে ভিক্টোরিয়া চত্বর। কিন্তু এত সেনা কেন?উপস্থিত সবাই হতচকিত। এরই মধ্যে জানা গেল জঙ্গি হানা হয়েছে!জঙ্গিরা নাকি এক প্রাতঃভ্রমণকারীকে বন্দি করে ফেলেছে। তাকে উদ্ধার করতেই এসেছে সেনা বাহিনী।অধিকাংশই ভয়ে এলাকা ছাড়লেন। আর কয়েকজন কৌতূহলী অবশ্য রয়ে গেলেন, দূর থেকে ঘাপটি মেরে সেনা-জঙ্গির মুখোমুখি লড়াইয় ‘লাইভ’ দেখার আশায়।
কী দেখা গেল? মাটিতে শুয়ে একেবারে সিনেমার কায়দায় সাউথ গেট দিয়ে ভিক্টোরিয়ার মাঠে ঢুকল সেনা! বাইরে ততক্ষণে পজিশন নিয়ে নিয়েছে সিআইএসএফ। ভেতর থেকে ওয়াকিটকির মাধ্যমে সেনার তরফ থেকে খবর এল, ভিতরে এক ভিআইপি প্রাত:ভ্রমণকারীকে ঘিরে ফেলেছে আট জঙ্গি!মিনিট কয়েকের মধ্যে শুরু হল অপারেশন। সাড়ে ৯টা থেকে ১০ টা চলল অপারেশন। দূর থেকে দেখা যাচ্ছিল, ভিক্টোরিয়ার শ্বেত পাথরের মূর্তির আড়ালে দু’জন জঙ্গি এমনভাবে লুকিয়ে আছে, সেখানে পৌঁছতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল জওয়ানদের। পর্থমে ৬জন জঙ্গিকে কব্জায় আনল জওয়ানরা। পরে বাকি দু’জনকে গ্রেফতার করতেই অপারেশন শেষ। হাফ ছেড়ে বাঁচলেন সেনা কর্তারা।দেখা গেল, অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ওই প্রাতঃভ্রমণকারীকে।
শেষপর্যন্ত, সেনা কর্তা প্রদীপ অগ্নিহোগ্রীর কাছে জানা গেল, এটা আসল কোনও জঙ্গি হানার ঘটনা নয়। নকল অভিযান। হঠাৎ যদি জঙ্গি হানা হয়, সেক্ষেত্রে কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়, তার মহড়ার জন্যই এই আয়োজন করা হয়েছিল। সেই মহড়া নিখুঁতভাবে হওয়ায় খুশি সেনা কর্তারা।