খালিস্তানি জঙ্গি নিজ্জরের হত্যয় এবার ট্রুডোর নিশানায় খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কানাডার (Canada) দুই সংবাদমাধ্যমে এক সরকারি সূত্রের কথা জানিয়ে দাবি করা হয়, খালিস্তানি জঙ্গি নিজ্জরের হত্যার ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি একা নন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও এই বিষয়ে জানতেন বলেই অভিযোগ করা হয় কানাডা সরকারের। কড়া জবাব দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। সবই ভারতের বদনাম করার চেষ্টা বলে জানিয়েছে দিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একে ‘ভিত্তিহীন’ এবং ‘হাস্যকর’ অভিযোগ বলে দাবি করা হয়েছে।
খলিস্তানি জঙ্গি নিজ্জর গত বছর জুনে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে খুন হয়। সেই হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় এজেন্সির যোগ আছে বলে জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ করেছিলেন। নিজ্জর ভারতে একাধিক অপরাধ করে কানাডা পালিয়ে গিয়ে সে দেশের নাগরিকত্ব নিয়েছিল বলেই খবর। এরপরেই কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সংসদে দাঁড়িয়ে সাফ জানান এই ঘটনার ভারতের সক্রিয় যোগ রয়েছে। এই ঘটনায় সেই সময় ভারতীয় হাই কমিশনার-সহ একাধিক কূটনীতিকের নাম জড়িয়ে অভিযোগ তোলে কানাডা। কিছুদিন আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। এমনকী ট্রুডো প্রশাসনের তরফে কানাডায় কর্মরত ভারতের হাই কমিশনারকে বরখাস্ত করা হয়। এবার খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধেই অভিযোগ করল কানাডা সরকার। জবাবে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ”সাধারণত সংবাদমাধ্যমের খবর নিয়ে আমরা মন্তব্য করি না। কিন্তু কানাডা সরকারের সূত্র উদ্ধৃত করে যখন সংবাদমাধ্যমে হাস্যকর মন্তব্য করা হয় তখন তা অবহেলা ও খারিজ করা উচিত।” ক্রমাগত ভারতের বদনাম করার এই ধরনের চেষ্টার ফলে কানাডার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক একেবারেই তলানিতে।