ফাঁস গৌতম আদানির প্রতারণা, জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা! বিরোধীদের তোপের মুখে মোদি সরকার

0
2

আবারও বিতর্কের শিরোনামে শিল্পপতি গৌতম আদানি৷ আবারও গৌতম আদানিকে কেন্দ্র করে ব্যাকফুটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর সরকার৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোটি কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে সরকারি আধিকারিকদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন গৌতম আদানি, এই অভিযোগ উঠেছে৷ এই মর্মে মার্কিন আদালতেও মামলা দায়ের হয়েছে৷ সেদেশের প্রশাসনের তরফে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের দাবি৷ এর পরেই দেশে গৌতম আদানি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একযোগে আক্রমণ করেছে বিরোধী শিবির৷ তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি সহ বিরোধী শিবিরের প্রভাবশালী সব কটি দলই এদিন গৌতম আদানিকে তোপ দাগার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও তীব্র ভাবে নিশানা করেছে৷

এই প্রসঙ্গেই শিল্পপতি গৌতম আদানিকে রক্ষা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করবেন কি ? টুইট করে জানতে চেয়েছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র৷ তাঁর অভিযোগ, মোদি সরকার এবং আদানি গোষ্ঠী একযোগে ষড়যন্ত্র করে দেশের সম্পদ বিদেশে বিক্রি করছে, দেশের গরিব মানুষের করের টাকা ধ্বংস করছে৷ একই সুরে গৌতম আদানি এবং মোদি সরকারকে নিশানা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে৷ তাঁর প্রশ্ন, ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘুষ কোন সরকারি আধিকারিককে দিয়েছে গৌতম আদানির সংস্থা ? এই প্রসঙ্গে ইডি কেন কোনও পদক্ষেপ করেনি ? প্রশ্ন তুলেছেন সাকেত গোখলে৷

তৃণমূল কংগ্রেসের মতই গোটা ঘটনায় গৌতম আদানি এবং মোদি সরকারকে তোপ দেগেছে কংগ্রেসও৷ নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে কংগ্রেস সাংসদ ও লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধীর দাবি, অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক গৌতম আদানিকে৷ রাহুলের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে গোটা ষড়যন্ত্রে জড়িত, তিনিই আদানির রক্ষাকর্তার ভূমিকায় আছেন৷ এই কারণেই আদানির ২ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারির কোনও তদন্ত এদেশে হবে না, দাবি জানান রাহুল গান্ধী৷

তাত্‍পর্যপূর্ণ হল, এমন একটা সময়ে গৌতম আদানিকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া নতুন বিতর্ক সামনে এসেছে, যার কয়েকদিনের মধ্যেই সংসদের শীতকালীন অধিবেশন৷ এই আবহে মোদি সরকারকে তুলোধোনা করার জন্য আদানি ইস্যু বড় হাতিয়ার হবে বিরোধী শিবিরের, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশ৷ এর আগেও গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগে সোচ্চার হয়েছিল বিরোধী শিবির৷ এবার মার্কিন মুলুকে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা গৌতম আদানি এবং মোদি সরকারকে নিশানা করা আরও সহজ হয়েছে বলেই তথ্যাভিজ্ঞ মহলের দাবি৷

আরও পড়ুন- যেখানেই হামলা সেখানেই প্রতিবাদ, নন্দীগ্রাম থেকে কর্মীদের বার্তা কুণালের