আগামী বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের (BGBS) আগে ক্ষুদ্রশিল্পের প্রসারের লক্ষ্যে আগামী মাসে রাজ্যজুড়ে ‘শিল্পের সমাধান’- নামে কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে। রাজ্য ক্ষুদ্র শিল্প দফতরের উদ্যোগে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের প্রতিটি ব্লক ও পুর এলাকায় শিবিরের আয়োজন করা হবে। কলকাতায় (Kolkata) একটি রাজ্য স্তরের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। সেখানে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই কর্মসূচি নিয়ে সম্প্রতি ক্ষুদ্রশিল্প সচিব রাজেশ পাণ্ডে-সহ দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।
শিবিরে ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড (Credit Card) থেকে শুরু করে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং বস্ত্রশিল্পের সঙ্গে যুক্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য আবেদন করা যাবে। একইসঙ্গে ওই সব শিবির থেকে এই সমস্ত প্রকল্প সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানও করা হবে। ঠিক হয়েছে প্রতি ব্লকে এই কর্মসূচির আয়োজন করার পর কলকাতায় একটি রাজ্য স্তরের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। তবে সেই অনুষ্ঠানটি কবে হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি।
আরও খবর: বিজেপি ইতিহাস মুছেই চলছে, রবীন্দ্রনাথের দেওয়া নাম ফিরিয়ে রাজনীতির চাল হিমন্তের
আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসের ৫ ও ৬ তারিখে দুদিনের বাণিজ্য সম্মেলনের (BGBS) আসর বসবে রাজ্যে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ‘ই ডুইং বিজনেস’ এর কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুখ্য সচিবের তরফ থেকে। শিল্পপতিদের সুবিধার জন্য যে যে বিষয়গুলি দরকার, তা নিয়ে রাজ্য সরকার এরমধ্যে ভেবে দেখছে। পরিকাঠামোর বিকাশ থেকে একজানালা পদ্ধতি কার্যকর করার মতো বিষয় শিল্পমহলকে বাংলার প্রতি আগ্রহ বাড়িয়েছে। বহু শিল্পপতি বাংলায় লগ্নি করার জন্য এগিয়ে আসছে।এরমধ্যে অনাবাসী ভারতীয় থেকে বিদেশী লগ্নকারীরাও বাংলাকে শিল্পের সেরা গন্তব্য বলে মেনে নিয়েছে।
২০২৩-এর বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ৪লক্ষ কোটি টাকার কাছে বিনিয়োগ প্রস্তাব আসে। যারজন্য রাজ্যে একের পর এক সম্ভাবনাময় প্রকল্প রূপায়ণ সম্ভব হচ্ছে বলে প্রশাসনের দাবি। জঙ্গলমহল সুন্দরীর মতো প্রকল্প রূপায়ণ করার প্রক্রিয়াও চলছে। আশা করা হচ্ছে ল্যান্ড ব্যাঙ্ক, সুলভে বিদ্যুৎ, উন্নত পরিকাঠামো আর স্থিতিশীল সরকার থাকায় আগামী দিনে বিনিয়োগ বাড়বে।