ট্যাব কাণ্ডে দ্রুতগতিতে তদন্ত চালাচ্ছে রাজ্য পুলিশ। গত দুদিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আরও ২১ জন গ্রেফতার হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকা। ফ্রিজ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট।
তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে, ‘জামতাড়া গ্যাং’য়ের কায়দায় উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় বসেই নাকি বোনা হয়েছিল এই ষড়যন্ত্রের জাল! ওই এলাকারই ‘প্রতারক’ বাবর রাজ্য পুলিশের স্ক্যানারে। মনে করা হচ্ছে, এই দুর্নীতির ‘মাস্টারমাইন্ড’ও সে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় বিভিন্ন জেলায় ১৪০টি মামলা দায়ের হয়েছে। রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে মোট ৪০ জন। ইতিমধ্যে ৭৯৭টি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকা।
প্রসঙ্গত, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়াশোনার স্বার্থে ট্যাব কেনার জন্য এককালীন ১০ হাজার টাকা দেয় রাজ্য সরকার। অভিযোগ, অনেক পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেই টাকা ঢোকেনি। কোথাও কোথাও আবার এক জনের টাকা চলে গিয়েছে অন্যের অ্যাকাউন্টে। এখন তদন্তে স্পষ্ট যে এই কেলেঙ্কারির নেপথ্যে আছে এক বড় চক্র! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই জালিয়াতির ইঙ্গিত আগেই দিয়ে রেখেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, শুধু বাংলা নয়, মহারাষ্ট্র, রাজস্থানের প্রকল্পের টাকাও হাইজ্যাক করা হয়েছে। তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই স্পষ্ট হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবির সত্যতা।
আরও পড়ুন- যোগীরাজ্যে উপনির্বাচনে পুলিশের দাদাগিরি, বন্দুক তাক! সাসপেন্ড ৫ আধিকারিক