উপনির্বাচনেও শান্তি বজায় রাখতে ব্যর্থ যোগী রাজ্যের পুলিশ। শান্তি প্রতিষ্ঠা তো দূরের কথা, কমিশনের নিয়ম ভেঙে সাসপেন্ড (suspend) পাঁচ পুলিশ আধিকারিক। অন্যদিকে ভোট দিতে বাধায় অভিযুক্ত খোদ পুলিশ আধিকারিক। মহিলাদের দিকে মহিলা পুলিশকর্মীর বন্দুক তাক করার ভাইরাল ভিডিও (ভিডিও-র সত্যতা বিশ্ববাংলা সংবাদ যাচাই করেনি) নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ সমাজবাদী পার্টি (Samajbadi Party)।
যোগী রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনেই সমাজবাদী পার্টির কাছে পর্যুদস্ত বিজেপি। রাজ্যের গদি ধরে রাখতে মরিয়া যোগী প্রশাসন শেষ পর্যন্ত পুলিশ বাহিনী দিয়ে নির্বাচন নিয়ন্ত্রণের খেলায় মাতলেও তাদের সেই অভিসন্ধি বিরাট অংশে রুখে দিল অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav) নেতৃত্বাধীন সমাজবাদী পার্টি। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম ভেঙে পরিচয়পত্র দেখতে অতি-তৎপরতা দেখায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সেই দুষ্কর্মের ভিডিও নিয়ে কমিশনে নালিশ জানায় সমাজবাদী পার্টি (Samajbadi Party)।
অভিযোগের ভিত্তিতে বাধ্য হয়ে পদক্ষেপ নেয় নির্বাচন কমিশন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (CEO, EC) নবদীপ রিনভা জানান, সমাজবাদী পার্টির তরফে অভিযোগের ভিত্তিতে সাসপেন্ড (suspend) করা হয়েছে পাঁচ পুলিশ আধিকারিককে যাঁরা নিয়ম বহির্ভূতভাবে পরিচয়পত্র পরীক্ষা করছিলেন। এঁদের মধ্যে ২ জন কানপুরের, ২ জন মুজফফরনগরের ও একজন মোরাদাবাদের।
তবে এরপরেও শিক্ষা হয়নি যোগীর পুলিশের। মুজফফরনগরের (Kujaffarnagar) একাধিক সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় ভোটাররা যাতে ঘর থেকে বেরোতে না পারেন তার জন্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী ক্রমাগত টহল দিয়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে বলে দাবি সপা-র। কটেহরি সহ একাধিক বিধানসভা এলাকার সেই আতঙ্কের পরিবেশের ভিডিও তুলে ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়।
তবে সবথেকে মারাত্মক ঘটনা উঠে আসে মুজফফরনগরের মীরাপুর (Mirapur) এলাকায়। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। এলাকার লোকেদের ভোট দিতে বাইরে বেরোতে নিষেধ করার ঘোষণা করা হয়। এরপর স্থানীয় মহিলারা পরিচয়পত্র নিয়ে ভোট দিতে বেরোলে তেড়ে যায় পুলিশ। এক মহিলা পুলিশ আধিকারিক এলাকার মহিলাদের সামনে বন্দুক (service rivolver) তাক করে গুলি চালানোর ভয় দেখান। গোটা ঘটনার ভিডিও নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিয়েছে সমাজবাদী পার্টি।