রাজ্যের কোনও এলাকায় অশান্তি ছড়ালে সেখানে ঢুকে সেই পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করাই এযাবৎ অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের বিরোধী বিশেষত বিজেপির নেতাদের। সন্দেশখালির ক্ষেত্রেও তাই দেখা গিয়েছিল। এবার মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা (Beldanga) নিয়েও একইভাবে প্ররোচনা দেওয়ার চেষ্টায় খোদ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। যদিও বেলডাঙা পৌঁছানোর আগেই তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। অন্যদিকে ওই এলাকায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়ের রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। শুক্রবারের মধ্যে সেই রিপোর্ট পেশের নির্দেশ।

শনিবার রাত থেকে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হওয়া বেলডাঙায় (Beldanga) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গ্রেফতারি থেকে টহলদারিতে সজাগ রাজ্য পুলিশ। এই সংক্রান্ত বিভিন্ন ভুয়ো পোস্ট যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য তিনদিন ধরে বন্ধ রাখা রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা (internet service)। সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে মুছে ফেলা হয়েছে বিদ্বেষমূলক পোস্টও। এই পরিস্থিতিতে যখন ক্রমাগত শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা জারি রেখেছে পুলিশ প্রশাসন, তখনই বুধবার বেলডাঙা যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
যেখানে রাজ্যের শাসকদলের নেতারা বাইরে থেকে সেখানে প্রবেশ করছেন না প্রশাসনের নির্দেশ ছাড়া, সেখানে নতুন করে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা সুকান্ত মজুমদারের। তবে বেলডাঙার আগেই নদিয়ার কৃষ্ণনগরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরই আটকে দেওয়া হয় তাকে। সেখানেও পুলিশের বাধা না মেনে বিক্ষোভ ও অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। ফলে পুলিশ তাঁকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলে।

বেলডাঙা সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানি মঙ্গলবার থেকেই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) শুরু হয়েছে। সেই মামলায় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল কোনও এলাকার শান্তি প্রতিষ্ঠা ও জনসাধারণের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারের। সেই মতো বুধবার রাজ্যের রিপোর্ট (report) তলব করা হয়েছিল। বুধবার কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) রাজ্য পুলিশ তুলে ধরে, বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে কীভাবে তদন্ত প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে সে ধরনের পোস্ট থেকে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছিল, সেই সব পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে বলে। এরপরই শান্তি প্রতিষ্ঠায় কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়ের রিপোর্ট (report) চেয়ে পাঠায় বিচারপতি ট্যান্ডনের বেঞ্চ। শুক্রবারের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।








































































































































