দল নয়, আস্থা রয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দল তৃণমূল (TMC) শাসিত রাজ্য সরকারের উপর। সেই কারণে বিচার চাইতে প্রয়োজনে প্রশাসনের দ্বারস্থ হবেন। আইনের পথে হাঁটবেন। এমনটাই জানালেন বিজেপির (BJP) পঞ্চায়েত প্রধানের হাতে আক্রান্ত দলেরই পঞ্চায়েত সদস্যা প্রতিমা মণ্ডল (Pratima Mandol)। এদিন বিজেপি পঞ্চায়েত প্রধান শক্তি মণ্ডল ও তাঁর সাগরেদদের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন। বিজেপি জেলা সভাপতির সামনে তাঁকে এবং তাঁর ছেলেকে মারধর করার তীব্র প্রতিবাদ জানান।
মালদহের মানিকচক ব্লকের দক্ষিণ চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শক্তি মণ্ডলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয় দলেরই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য প্রতিমা। মানিকচকের দলীয় কার্যালয়ে একদল পুরুষ সদস্যের সামনে ওই পঞ্চায়েত সদস্য প্রতিমাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় বিজেপি জেলা সভাপতি-সহ কোনও নেতৃত্বই প্রতিবাদ জানাননি বলে অভিযোগ প্রতিমার। বিজেপি (BJP) নেতা শক্তি মণ্ডলকে তিনি সমাজবিরোধী বলে আক্রমণ করেন। দুর্নীতির প্রতিবাদ করতে গিয়ে যে তাঁকে এরকমভাবে আক্রান্ত হতে হবে স্বপ্নেও ভাবেননি প্রতিমা। বিজেপি প্রধান ও তাঁর দলবল মানুষের পাশে না থেকে গুলি-বোমা নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত চালাচ্ছেন। এই অভিযোগে সরব হয়েছেন তিনি। দল যদি কোনও বিচার না করতে পারে তাহলে শীঘ্রই তিনি আইনের দ্বারস্থ হবেন। শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকারের কাছেও তিনি সুবিচার চাইবেন।
এ নিয়ে দুবার তাঁর উপর বিজেপি প্রধান আক্রমণ চালিয়েছে বলে অভিযোগ প্রতিমার। অক্টোবর মাসের ৫ তারিখ মথুরাপুর আমবাগানে দলীয় সভার নামে তাঁকে ডাকা হয়। বন্দুক ও ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে প্রতিমাকে স্বাক্ষর করার জন্য জোরাজুরি করেন শক্তি ও তাঁর দলবল। মানিকচক বিজেপি কার্যালয়ে জেলা সভাপতি সামনে, তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। এরপরই বুধবার পঞ্চায়েত প্রধান ও বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন তিনি।







































































































































