চার বছর পরে শান্তির পথে ভারত-চিন সীমান্ত (Indo-China border)। লাদাখ থেকে অরুনাচলে সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া প্রায় সেরে ফেলেছে চিন। তবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি নিয়ে এখানেই থেমে থাকছে না চিন। পুরোনো থমকে থাকা সম্পর্কও ফিরিয়ে আনার পথে জিনপিংয়ের (Xi Jinping) দেশ। তার মধ্যে অন্যতম দুই দেশের মধ্যে সরাসরি উড়ান (direct flight) চালু করা।
ব্রিকসের (BRICS Summit) পরে ফের ভারত-চিন কথা রিও-র জি-টোয়েন্টি (G-20) বৈঠকে। অচলাবস্থার যে গিঁট খুলেছিল ব্রিকস সম্মেলনে, সেই পথ আরও মসৃণ করার বার্তা চিনের পক্ষ থেকেই দেওয়া হল জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের (MEA) সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান জি-টোয়েন্টির সাইড লাইনে বৈঠক করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) ও চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং উই (Wang Yi)। সেখানে মূলত সীমান্তে চিনা সৈন্য কতটা সরল তা নিয়ে আলোচনা হয়।
সেই সঙ্গে সেই বৈঠকে চিনের পক্ষ থেকে দিল্লির সঙ্গে বেজিংয়ের (Beijing) সরাসরি উড়ানের প্রস্তাব পেশ করা হয়। চিনের তরফে অসহযোগিতার কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এই সরাসরি উড়ান। অক্টোবরে দুদেশের মধ্যে শান্তির বাতাবরণ তৈরি হওয়ার পরে ভারতের পক্ষ থেকে তা আবার শুরু করার প্রস্তাব দেওয়ার হয়। জি-টোয়েন্টি (G-20) সম্মেলনে তাতে সম্মতি জানিয়ে আলোচনা করেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। নিজেদের দেশের আর্থিক দিক চিন্তা করেই এই প্রস্তাবে এগোতে চাইছে চিন, অভিমত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের। সেই সঙ্গে দুদেশের মধ্যে সাংবাদিক আদান প্রদান ও ভিসা (Visa) দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করারও প্রস্তাব চিনের (China) দিক থেকেই পেশ করা হয়। স্বভাবতই অনুমান করা যায় বিষয়টি নিয়ে কতটা ইতিবাচক মানসিকতা নিয়েছে চিন।