ফের মিথ্যাচার বিজেপির। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য (TMC panchayat member) বিজেপিতে যোগ দেননি, বিজেপির মঞ্চেও যাননি কোনওদিন। অথচ ফলাও করে তাঁর ছবি পোস্ট করা হল। সম্প্রতি বিজেপি কর্মী সুজিত মিশ্রের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা সেই ছবি ভাইরাল হতেই প্রশাসনের দারস্থ হলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য গোপালচন্দ্র বেরা। তিনি সাফ জানালেন, কোনওদিন বিজেপিতে যোগ দেননি তিনি। তার ছবি এডিট (edit) করে এই মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এর ফলে বিজেপির দৈন্যদশা ফের একবার প্রকট হয়ে গেল।
বাংলার মানুষ বিজেপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। তার ফলে নতুন সদস্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। টার্গেট পূরণের জন্য নানা ফন্দি ফিকির তাঁরা আঁটছেন। কেউ নববধূকে মিসডকল (missed call) পাঠাচ্ছেন, তো কেউ ছবি এডিট (edit) করে ভুয়ো সদস্য বানাচ্ছেন।
সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুর (East Medinipur) জেলার এগরা ১ নম্বর ব্লকের ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি ঘটনা সামনে এসেছে। যেখানে বিজেপি (BJP) কর্মী সুজিত মিশ্রের সোশ্যাল মিডিয়ায় (social media) করা পোস্টে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য গোপালচন্দ্র বেরা বিজেপির সদস্যপদ গ্রহণ করেছেন। বিজেপির সদস্যতা অভিযানে তৃণমূল নেতার যোগদান নিয়ে হইচই পড়ে যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে। নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর দিয়ে দাবি করা হয় তৃণমূলের ওই পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু সেই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন স্বয়ং পঞ্চায়েত সদস্য। গোপালচন্দ্র বেরা বলেন, তিনি তৃণমূলেই আছেন। বিজেপিতে যোগ দেননি। ওটা ফেক ছবি। ছবি এডিট করে মিথ্যা দাবি করছে বিজেপি। ফোন নম্বরটাও ভুল। আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট (Facebook account) হ্যাক (hack) হয়েছে। দলীয় নেতৃত্বকেও আমি এ ব্যাপারে সব জানিয়েছি। তাঁরা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবেন। সাংবাদিক সম্মেলন করে গোপালের পাশে দাঁড়িয়েছেন এগরা ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহসভাপতি সত্য চক্রবর্তী। কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির যুবমোর্চার (BJYM) ইনচার্জ অরূপ দাস অবশ্য গোপালের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, তৃণমূলের অনেকেই গোপনে সদস্যপদ নিচ্ছেন। ভাল নেতারা কেউ থাকতে চাইছেন না তৃণমূলে।