জন্ম-মৃত্যু পোর্টালে (Janma Mrityu Tathya) মৃতের সংখ্যায় অসঙ্গতি মেলায় দু’টির মধ্যে একটি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানানো হয়েছে, যে পোর্টালে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক, সেখানে মৃতের সংখ্যা কম দেখানো হয়েছে। আর যে পোর্টালে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ না করলেও চলে, সেখানে মৃতের সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি। মৃত্যু সংক্রান্ত সরকারি তথ্যের এই ফারাক দেখে একটি পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্যভবন (Swastha Bhavana)। জন্ম-মৃত্যু তথ্যের পোর্টাল অনুযায়ী, গতবছর মৃত্যু হয়েছে ৬ লক্ষ ৬২ হাজার ৯৯১ জনের। আর মেডিক্যাল সার্টিফিকেশন অফ কজ অফ ডেথ পোর্টালে ২০২৩ সালে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৩৯৫ জন। দুই পোর্টালে মৃতের সংখ্যার ফারাক ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ৫৯৬। পূর্ববর্তী বছরেও মৃত্যু সংক্রান্ত সরকারি তথ্যে অসঙ্গতি ধরা পড়েছিল।
আসলে কোনও নাগরিক মারা গেলে, তাঁর মৃত্যুর শংসাপত্র জারির আগেই তাঁর নাম রাজ্যের পোর্টালে তোলা হয়। মেডিক্যাল সার্টিফিকেশন কজ অফ ডেথ (cause of death) পোর্টালে মৃত্যুর কারণ দর্শাতে হয়।
২০১৯ সালে রাজ্য ‘জন্ম-মৃত্যু তথ্য’ পোর্টাল চালু করে। কিন্তু দুই পোর্টালের মধ্যে পরিসংখ্যানগত এত ফারাক কেন? তার জবাবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জন্ম-মৃত্যুর তথ্য পোর্টালের অ্যাকসেস (access) শুধুমাত্র স্বাস্থ্যভবন, মেডিক্যাল কলেজ ও সরকারি হাসপাতালের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। রাজ্যের পঞ্চায়েত, পুরসভা, শ্মশান, সমাধিস্থল কর্তৃপক্ষকেও অ্যাকসেস দেয়া রয়েছে। কারণ বেশিরভাগ মানুষই বাড়িতে মারা যান। সেক্ষেত্রে ডেথ সার্টিফিকেট (death certificate) পাওয়ার আগেই মৃত্যুর কারণ না দেখিয়েই আপলোড করা যায়। ফলে ফারাক থাকাই স্বাভাবিক।
তবে এই অসঙ্গতির প্রভাব পড়তে পারে মনে করেই একটি পোর্টাল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কোনটি বন্ধ করা হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সে ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিকারিকরা আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবেন।