দেশে সেনা মোতায়েন করে বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের (Illegal Immigrants) তাড়াবেন রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। স্পষ্ট নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ঘোষণা করে দিলেন তিনি। তার জন্য প্রয়োজনে দেশে জরুরি অবস্থাও (Emergency) জারি করতে পারেন বলে জানান তিনি। সেই সঙ্গে নবজাতকদের আমেরিকার নাগরিকত্ব দিতেও আসছে নতুন আইন।
চলতি সপ্তাহেই আমেরিকার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (Immigration and Customs Enforcement) বিভাগের প্রধান টম হোমান (Tom Homan) দেখা করবেন ট্রাম্পের সঙ্গে। সেখানেই নির্ধারিত হবে বেআইনি অনুপ্রেবশকারীদের দেশ থেকে তাড়াতে (deportation) কী পন্থা নিতে চলেছে আমেরিকার নব নির্বাচিত সরকার। মূলত বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের দেশ থেকে তাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের পালা। তার জন্য প্রয়োজনে দেশে জরুরি অবস্থা (Emergency) জারির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প (Donald Trump)। জরুরি অবস্থা জারি করতে পারলে দেশে সেনা নামানো সম্ভব হবে।
নির্বাচনী প্রচারের সময়ই ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE) বিভাগকে সামরিক দফতরের সাহায্য় নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। এবার সেই পন্থা তিনি নিজেই নেবেন। ট্রাম্পের আগের জমানায় দেশ থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ বেআইনি অনুপ্রবেশকারীকে দেশ থেকে তাড়ানো (Deportation) হয়েছিল। পূর্ববর্তী বাইডেন সরকার তাঁদের মেয়াদকালে ১১ লক্ষ অনুপ্রবেশকারীকে তাড়িয়েছিলেন। তবে রাজনীতিকদের ধারণা সেনা দিয়ে বেআইনি অনুপ্রবেশকারী (illegal immigration) তাড়ানোর কাজ করলে তা আমেরিকার ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিতাড়ন হবে।
তবে শুধু বেআইনি অনুপ্রবেশকারী নয়, দেশের নাগরিকত্ব নিয়ন্ত্রণে নতুন নাগরিকত্বের নিয়মেও বদল আনবে ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্প জানিয়েছেন এখন থেকে কোনও শিশুদের আমেরিকার নাগরিকত্ব পেতে গেলে বাবা-মায়ের মধ্যে একজনকে আমেরিকার নাগরিক হতে হবে। সেই সঙ্গে বার্থ টুরিজম (birth tourism) প্রথাও তুলে দিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।