রিও-ডি-জেনিরোতে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে ইন্দোনেশিয়া থেকে ইংল্যান্ড-আমেরিকার রাষ্ট্রনায়কদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কোনও দেশের সঙ্গে পুরোনো চু্ক্তির বিষয়ে আলোচনা, আবার কোনও দেশের সঙ্গে নতুন করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিতে বৈঠকও হল। তবে দেখা হল না শুধু একটি দেশের রাষ্ট্রনায়কের সঙ্গে। কানাডার রাষ্ট্রপতি জাস্টিন ট্রুডোকে (Justin Trudeau) কী সন্তর্পণে এড়িয়ে গেলেন মোদি, উঠছে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন।
সোমবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে ব্রাজিলে জি-টোয়েন্টি (G-20) সম্মেলন। খাদ্যসঙ্কট ও দারিদ্র দূরীকরণ বিষয়ে এবারের জি-টোয়েন্টির আলোচনাসভায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী স্থান পেয়েছেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের (Joe Biden) পাশে। তবে মূল আলোচনা মঞ্চের সাইডলাইনে মোদি বৈঠক করেন একাধিক দেশের সঙ্গে। ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নিরাপত্তা, বাণিজ্য, স্বাস্থ্য-ওষুধ বিষয়ে আলোচনা। পর্তুগালের (Portugal) প্রধানমন্ত্রী লুই মন্টেনেগ্রোর সঙ্গে আলোচনা হয় পুণর্নবিকরণযোগ্য শক্তি ও গ্রিন হাইড্রোজেন বিষয়ে আদানপ্রদানের। শিক্ষা সংস্কৃতির পাশাপাশি বাণিজ্য ও প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা হয় ইতালির (Italy) প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে। নরওয়ের (Norway) প্রধানমন্ত্রী জোনাস স্টোরের সঙ্গে সেখান থেকে বিনিয়োগ বিষয়েও আলোচনা হয়।
তবে সাইডলাইনে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয় ব্রিটেন (United Kingdom) ও ফ্রান্সের (France) সঙ্গে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার (Keir Starmer) জানান ভারতের সঙ্গে ব্রিটেনের বাণিজ্য পুণরায় শুরু হবে। এর ফলে প্রচুর উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান হওয়া সম্ভব হবে। ফরাসি রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর (Emmanuel Macron) সঙ্গে মহাকাশ গবেষণা, শক্তির ব্যবহার ও এআই প্রযুক্তি নিয়ে সম্প্রতি নতুন কাজ শুরু করার কথা জানা যায়।
আলোচনা না হলেও ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি লুলা, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি সহ একাধিক রাষ্ট্রনায়কদের সঙ্গে দেখা করেন মোদি। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রসঙ্ঘের (UN) সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্টনিও গুয়েতরেজের (Antonio Guterres) সঙ্গেও আলাপচারিতা করতে দেখা যায় মোদিকে। কিন্তু এত রাষ্ট্রনায়কদের সঙ্গে দেখা হলেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেখা করেননি কানাডার (Canada) রাষ্ট্রপতি জাস্টিন ট্রুডোর (Justin Trudeau) সঙ্গে। দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের তিক্ততা এখন এতটাই প্রকট যার প্রতিফলন হল জি-টোয়েন্টির মঞ্চেও। এমনকি ট্রুডো অন্য কোনও দেশের রাষ্ট্রনায়কদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন বলে দেখা যায়নি রিওতে।