ঘূর্ণিঝড় ডানা-সহ একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে শস্যহানি হয়েছে। বাংলার মা-মাটি-মানুষের সরকার সর্বদা কৃষকদের পাশে থেকেছে। কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও শস্য বিমা ও সারের জোগান নিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবার তিনি জানিয়ে দিলেন, শীঘ্রই কৃষক বন্ধু (Krishak Bandhu) প্রকল্পে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাবেন রাজ্যের ১ কোটি ৭ লক্ষ কৃষক (Farmer)। তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যথা সময়ে টাকা ঢুকে যাবে। সোমবার নবান্নে আদিবাসী উন্নয়ন বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকের পরে তিনি নবান্নে জানিয়ে দেন, কৃষকবন্ধু প্রকল্পে উপভোক্তাদের টাকা দেওয়ার কাজ শুরু হবে উপনির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি উঠে যাওয়ার পরই।
রাজ্যের ১ কোটি ৭ লক্ষ কৃষককে মোট ২৯০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বিভিন্ন জনক্যা্ণমূলক প্রকল্পে সুবিধা প্রদান করেন সাধারণ মানুষকে। সেইমতোই কয়েকদিনের মধ্যে ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের টাকা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ট্যাবের টাকা গায়েবের ঘটনা ঘটেছে। তা থেকে শিক্ষা নিয়ে হ্যাকার-চক্রের মোকাবিলায় অনুদানের টাকা পাঠাতে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Shovandev Chatterjee) জানিয়েছেন, উপভোক্তাদের আধার-সহ প্রয়োজনীয় তথ্য পুনর্যাচাই করে তবেই টাকা পাঠানো হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কৃষিদপ্তর চাষিদের কাছে সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। আমরা চাইব একজনও যোগ্য প্রাপক যাতে বঞ্চিত না হন। সেইমতোই পরিকল্পনা করে এগোচ্ছি আমরা।
চলতি অর্থবর্ষেই ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা মিলেছে, এবার দ্বিতীয় কিস্তির টাকা প্রদান করা হবে। জেলাভিত্তিক উপভোক্তা তালিকা তৈরি। গত বারের তুলনায় প্রায় দেড় লক্ষ বেড়েছে উপভোক্তা। উল্লেখ্য, জমির পরিমাণ নিরিখে একজন কৃষক বছরে ৪ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পান। ২০১৯ সালে প্রকল্পটি চালু হওয়ার পর উপভোক্তার সংখ্যা বর্তমানে এক কোটি ছাড়িয়েছে। শুধু কৃষক বন্ধু প্রকল্পই নয়, কৃষকদের দুর্দিনে পাশে থাকতে ‘বাংলা শস্য বিমা’ প্রকল্পও চালু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ডানা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষিকাজে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায়, ফলনও ব্যাহত হওয়ায় বাংলা সশ্য বিমা প্রকল্পে সহায়তা দেওয়া হবে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে সমীক্ষার কাজ শুরু হবে ৩০ নভেম্বরের পরে। এখন এই প্রকল্পে নাম তোলার কাজ চলছে।
আরও পড়ুন- শিল্পে জোয়ার, আরও কর্মসংস্থান! তথ্যপ্রযুক্তিতে দুই ব্রিটিশ সংস্থার লগ্নি রাজ্যে