কুকুরের মুখে অপরিণত ভ্রূণ! সোনামুখী হাসপাতালে প্রসূতির পরিবারের অভিযোগ নস্যাৎ ডেপুটি CMOH-এর

0
1

কুকুরের মুখে অপরিণত ভ্রূণ। চাঞ্চল্য বাঁকুড়ার (Bankura) সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে। যদিও অভিযোগে উড়িয়ে বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার ডেপুটি CMOH মীনাক্ষী মাইতির দাবি পরিবারের দেওয়া ছবি ভুয়ো।

পেটের যন্ত্রণা নিয়ে সোনামুখী ব্লকের কোচডিহি গ্রামের প্রিয়া রায় নামের এক প্রসূতি সোমবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরিবারের দাবি, কর্তব্যরত চিকিৎসক তার ইউরিন টেস্টের কথা বলায়, ওই প্রসূতি শৌচালয়ে যান। সেখানেই তিনি অপরিণত ভ্রূণের জন্ম দেন। কর্তব্যরত নার্সরা মহিলাকে প্রসূতি বিভাগে নিয়ে গেলেও সদ্যোজাত সেখানেই পড়ে থাকে বলে অভিযোগে প্রিয়ার পরিবারের। কিছুক্ষণ পরে ওই অপরিণত ভ্রূণটিকে প্রসূতির আত্মীয়রা দেখতে গেলে সেটি মেলেনি- অভিযোগ পরিবারের। এর পরেই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন ওই প্রসূতির পরিবার। বলেন, একটি কুকুরকে ওই অপরিণত ভ্রূণকে মুখে নিয়ে ছুটে বেরতে দেখেন তাঁরা। কুকুরকে তাড়া করেও সেটা আটকানো যায়নি। ওই প্রসূতিকে চিকিৎসার কারণে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।

ঘটনায় সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে সরেজমিনে তদন্ত করে বিষ্ণুপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতরের একটি প্রতিনিধি দল। দুজন ডেপুটি CMOH সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়ে হাসপাতাল (Hospital) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একঘণ্টা কথা বলেন। তথ্য সংগ্রহ করেন। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার ডেপুটি CMOH মীনাক্ষি মাইতি জানান “ওই মহিলার এক মাস দশ দিনের প্রেগনেন্সি ছিল। পরিবার যা অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।“ পরিবারের দেওয়া ছবিটি ভুয়ো বলে অভিযোগ করেন তিনি।

যদিও প্রসূতি প্রিয়ার দাবি, তিনি পাঁচ মাসের অন্ত:সত্ত্বা ছিলেন। কিন্তু স্থানীয় আশা কর্মীর ভুলের কারণেই হাসপাতালে ভুল তথ্য গিয়েছে। প্রসূতির আত্মীয় মোহন রায় নিজে ছবি তুলেছেন বলে দাবি করেন। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি।