আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিজিও-কমপ্লেক্সে তাদের কার্যালয়। অথচ সেখানে একটি স্মারকলিপি জমা নেওয়ার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নেই! অভয়া-কাণ্ডে দ্রুত বিচার চেয়ে CGO-তে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়ে ফিরে আসতে হল WBJDA-কে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে এতো বড় তদন্ত তারা সামলাবে কী করে!
৯ অগাস্ট আর জি কর-কাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। দিন তিনেকের মধ্যে আদালতের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআই-এর হাতে। তার পর এতগুলি দিন পেরিয়ে গেলেও এই ঘটনা আর কাউকে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বলে গ্রেফতার করতে পারেনি সিবিআই। শেষ হয়নি তদন্ত। এখনও পর্যন্ত তাঁদের পেশ করা চার্জশিটে (Chargesheet) মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রাই। সেই তদন্ত দ্রুত শেষ করার দাবি নিয়ে সোমবার সিজিও কমপ্লেক্সে CBI-এর হাতে স্মারকলিপি দিতে যান ওয়েস্টবেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা। কিন্তু ঢুকতে গিয়েই বিপত্তির সম্মুখীন হতে হল জুনিয়র চিকিৎসকদের। তদন্তের দায়ভার যাদের হাতে সেই সিবিআই দফতর থেকে জানানো হয় জুনিয়র চিকিৎসকদের ১ থেকে ২জন গিয়ে স্মারকলিপি জমা করে আসতে পারেন তবে এদিন তাঁরা কোনও রিসিভিং কপি পাবেন না। কবে পাওয়া যাবে জানতে চাইলেও সঠিক উত্তর মেলেনি।
শেষ পর্যন্ত স্মারকলিপি জমা দেন WBJDA-র ২সদস্যের প্রতিনিধিদল। জুনিয়র চিকিৎসক শ্রীশ চক্রবর্তী জানান, তাঁরা আগামী ২-৩ দিনের মধ্যেই রিসিভিং কপি পেয়ে যাবেন বলে আশা রাখছেন। একই সঙ্গে তিনি জানান, আরজি কর মামলার দ্রুত ন্যায় বিচার চেয়ে তাঁরা সিবিআইয়ের কাছে এসেছেন। তদন্ত শেষ করতে সময় লাগবে তাঁরা জানেন কিন্তু সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট যাতে সিবিআই তাড়াতাড়ি দেয় সেই আবেদন করা হয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের সমর্থনে নানা কথা বলা হচ্ছে। কোনও অভিযুক্তর যখন কোর্ট ট্রায়াল চলছে তখন তাঁকে সমর্থন করাও অন্যায় বলে মত তাঁদের।
ন্যায়বিচার ও তদন্তভার যাদের হাতে সেই সিবিআই দফতরে আরজি কর মামলার দ্রুত নিস্পত্তি চেয়ে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েও কেন গ্রহণপত্র দেওয়া গেল না জুনিয়র চিকিৎসকদের হাতে এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যে দফতরে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়ার জন্য কাউকে পাওয়া যায় না, তারা কীভাবে এত গুরুত্বপূর্ণ একটি মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করবে!