কৃষকদের দুটি সংগঠনের (farmers organisation) ডাকে ফের দিল্লির দরবারে ধর্না, অবস্থানে বসার ঘোষণা কৃষক নেতাদের। ফেব্রুয়ারি থেকে ধর্নায় বসে থাকা কৃষকদের দিকে ফিরেও তাকায়নি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এবার ফের শাসকের কানে কথা ঢোকানোর জন্য দিল্লি চলো আওয়াজ তুললেন কৃষকরা। যদিও তার আগে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসবেন তাঁরা।
দেশের উত্তর-পূর্বে মনিপুর জ্বলছে। মোদির নিজের রাজ্যে ব়্যাগিংয়ের শিকার হয়ে মৃত্যু ডাক্তারি পড়ুয়ার। রাজধানী ঢেকেছে দূষণের ধোঁয়াশায়। অথচ প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে ব্যস্ত। সেই কেন্দ্রের সরকার দেশের কৃষকদের অবহেলা করবে সেটাই যেন দস্তুর। ফেব্রুয়ারির ১৩ তারিখ থেকে দিল্লির শম্ভু (Shambhu) ও কনৌরি (Kanauri) সীমান্তে অবস্থানে রয়েছেন কৃষকরা। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে নীরবতা এমন যেন তাঁরা জানেন না কৃষক অবস্থানের কথা। এবার কেন্দ্রের কানে কথা পৌঁছে দিতে কৃষকরাই পৌঁছে যাবেন রাজধানীতে।
দুই কৃষক সংগঠনের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয় ফসলের এমএসপি (MSP), কৃষকদের ঋণমকুব সহ একাধিক পুরোনো দাবি নিয়েই তাঁরা লড়াই চালাবেন। কৃষক নেতা সর্দার জগজিৎ সিং দাল্লেওয়াল অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন (indefinite hunger strike) শুরু করবেন ২৬ নভেম্বর থেকে। দাল্লেওয়াল ইতিমধ্যেই ক্যান্সার আক্রান্ত। তবু ফেব্রুয়ারি থেকে কানৌরি সীমান্তে অবস্থান চলার দরুণ যে ৩০ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের কথা ভেবেই তিনি অনশনে বসবেন। দশদিনের মধ্যে কেন্দ্রের সরকার কথা না শুনলে তাঁরা রওনা দেবেন দিল্লির পথে (March o Delhi)।
এবারের দিল্লি অভিযানে শম্ভু সীমান্ত দিয়ে দিল্লিতে প্রবেশ করবেন তাঁরা। দিল্লির রামলীলা ময়দান (Ramlila Maidan) বা যন্তর মন্তর (Jantar Mantar), যে কোনও জায়গায় বিক্ষোভ দেখানোর অনুমতি চেয়েছেন কৃষকরা। তবে এবারে তাঁরা কেন্দ্রের স্বৈরাচারি সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে পায়ে হেঁটে দিল্লি যাবেন বলে জানান।