স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে লুঠের চেষ্টা, বাধা পেয়ে অস্ত্রের কোপ মুকুন্দপুরে

0
2

সোনার দোকানে ঢুকে লুঠের চেষ্টা দুষ্কৃতীদের। পূর্ব যাদবপুর থানা (East Jadavpur police station) এলাকার মুকুন্দপুর (Mukundapur) বাজারে রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো। স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁর গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মেরে পালানোর চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। সেই সময় চিৎকার চ্যাঁচামেচিতে স্থানীয় মানুষ দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করে। দুই দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে স্থানীয় মানুষ। তবে এরকম ঘটনা আগে কখনও এই জনবহুল এলাকায় না ঘটায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দুই দুষ্কৃতীকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

মুকুন্দপুরের সোনার দোকানের (jewelery shop) মালিক সঞ্জয় সরকার অন্যান্য দিনের মতো রবিবার দোকানে ছিলেন অন্য কর্মচারিদের সঙ্গে। ক্রেতা সেজে প্রথমে কিছু দুষ্কৃতী দোকানে ঢোকে। এরপরই ধারালো অস্ত্র মালিক সঞ্জয় সরকারকে দেখিয়ে গলার সোনার চেক ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। এরপর অস্ত্রের সামনে দোকান লুঠের চেষ্টা চালালে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন সঞ্জয়। দুষ্কৃতীকে জাপটে ধরে ফেলার চেষ্টা করেন। তখনই তাঁর গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ দেয় এক দুষ্কৃতী। এরপরই দোকানের কর্মীদের চিৎকারে দোকান ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা।

বেলা ১১টা নাগাদ মুকুন্দপুরের বাজারে বহু মানুষ ছিলেন যখন দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছিল। সঞ্জয়ের চিৎকার আর হুড়োহুড়িতে তারা সতর্ক হয়ে যান ও দুষ্কৃতীরা পালানোর চেষ্টা করলে তাদের মধ্যে দুজনকে ধরে ফেলেন। রক্তাক্ত সঞ্জয়কে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনায় ধৃত দুই দুষ্কৃতীকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পূর্ব যাদবপুর থানার (East Jadavpur police station) পুলিশ। এর আগেও রাজ্যের ডোমজুড় থেকে আসানসোল, ব্যারাকপুর থেকে মালদহ – একাধিক সোনার দোকানে ডাকাতি ও খুনের চেষ্টায় বারবার বাইরের রাজ্যের যোগের প্রমাণ মিলেছে। মুকুন্দপুরের ঘটনায় দ্রুত ডাকাতি চক্রের জাল ছেঁড়ার আশ্বাস দিচ্ছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ।