ক্ষমতার প্রায় তিনগুণ শিশু ভর্তি! ঝাঁসি হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন

0
3

ঝাঁসির (Jhasi) মহারানি লক্ষ্মীবাই মেডিক্যাল কলেজে আগুনে পুড়ে মৃত শিশুর সংখ্যা ১০। উদ্ধার করা হয়েছিল ৩৮ শিশুকে। এখনও নিখোঁজ এক শিশু। অথচ দুর্ঘটনার পরে তদন্তে উঠে আসছে এত শিশু রাখার ক্ষমতাই ছিল না ওই নিওনাটাল ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটের(NICU)। যে ওয়ার্ডের ক্ষমতা ছিল মাত্র ১৮টি শিশু রাখার সেখানে দুর্ঘটনার রাতে ছিল ৪৯ শিশু।

দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে যোগী প্রশাসন খুঁজতে শুরু করেছে আগুন লাগার প্রাথমিক কারণ কী ছিল। কোন সূত্র থেকে আগুনের উৎপত্তি, সেখানে কোনও গাফিলতি রয়েছে কিনা। সেক্ষেত্রে দোষীকে চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন যোগী প্রশাসন। তবে তাতেও ফিরে আসবে না ১০ সদ্যজাত। যেখানে স্পষ্ট ক্ষমতার অতিরিক্ত শিশুকে রাখা হয়েছিল ওই নিকু (NICU) ইউনিটে, সেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাফাই তাঁরা কোনও শিশুকে ফেরান না।

সম্প্রতি এই ওয়ার্ডটি বন্ধ করে নতুন তৈরি হওয়া নিকু ইউনিটে শিশুদের সরানোর পরিকল্পনা ছিল সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। সেক্ষেত্রে স্পষ্ট এই ওয়ার্ডটি আদৌ নিরাপদ ছিল না। নতুন ইউনিটে ৫১ শিশুকে একসঙ্গে রাখার সুযোগ ছিল, যেখানে ১৮ বেড সমৃদ্ধ পুরোনো ইউনিটে রাখা হয় ৪৯ শিশুকে, যে প্রবণতা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।

দুর্ঘটনার পরে এক একটি দগ্ধ শিশুর দেহ হাসপাতালের জানালা দিয়ে কাগজের মোড়কের মতো বেরিয়ে আসে। সন্তান হারিয়ে বাবা-মায়েরা হাসপাতালের বাইরে আর্তনাদ করতে থাকেন। এখনও ১৪ শিশু পাঞ্জা লড়ছে মৃত্যুর সঙ্গে। শিশুদের উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হয়েছিলেন এক নার্স। তবে প্রাথমিকভাবে হাসপাতালের যে অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র নিয়ে লড়াই করার চেষ্টা করেন হাসপাতালের কর্মীরা, দেখা যায় সেই যন্ত্রেরও ডেট এক্সপায়ার করে গিয়েছে। যদিও মৃতদেহ ও জীবিত সদ্যজাতর বাইরে এখনও নিখোঁজ এক সদ্যজাত।