কাউন্সিলর সুশান্তকে ‘খুনের চেষ্টা’য় ধৃত মূলচক্রী, ‘ষড়যন্ত্রী’দের গ্রেফতারের দাবি তৃণমূলের

0
3

কলকাতা পুরসভার (Kolkata Corporation) কাউন্সিলরের উপর হামলার ঘটনায় মূল চক্রী মহম্মদ ইকবার ওরফে আফরোজকে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যেই গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। শহর ছেড়ে পালানোর সময়ই কলকাতা পুলিশের গুণ্ডাদমন শাখার হাতে গ্রেফতার হয় আফরোজ। সেই সঙ্গে পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, খুন করা নয়, ভয় দেখানোর জন্যই শুক্রবার রাতে কাউন্সিলর (councilor) সুশান্তর উপর হামলার নির্দেশ ছিল ধৃত যুবকের উপর।

১০৮ নম্বর কাউন্সিলরের উপর যে হামলা চলে তাতে গ্রেফতারির সংখ্যা শনিবার সকালের মধ্যেই বেড়ে হয় দুই। দ্বিতীয় গ্রেফতার এক ট্যাক্সিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেই আফরোজের খোঁজ পায় কলকাতা পুলিশ। জানা যায়, রাতে বাইপাসের ধারে গা-ঢাকা দিয়েছিল আফরোজ। সেখান থেকেই হাওড়া হয়ে বর্ধমানের দিকে পালানোর চেষ্টা করেছিল সে।

ইতিমধ্যে হাওড়া ও বর্ধমান পুলিশকে তথ্য দিয়ে অ্যালার্ট করে কলকাতা পুলিশ। এরপরই বাইক সহ আফরোজ ওরফে ইকবাল ওরফে গুঞ্জারকে বর্ধমানের গলসি (Galsi) থেকে গ্রেফতার করে তারা। তবে এই ঘটনায় রাজ্যে অস্ত্র উদ্ধার ও বাইরে থেকে অপরাধী ও অস্ত্র ঢোকা বন্ধ করার দাবি পুলিশের কাছে রাখে রাজ্যের শাসকদল। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) দাবি করেন, “অ্যাক্ট নাও” (Act now)। সেই সঙ্গে কীভাবে রাজ্যে অস্ত্র ঢুকছে ও অস্ত্র ঢোকা আটকাতে পুলিশকে আরও ইতিবাচক ভূমিকা নেওয়ার দাবি জানান মন্ত্রী।

এপর্যন্ত সুশান্ত ঘোষের উপর হামলার ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা হল তিন। ইতিমধ্যেই আগের দুই ধৃতকে জেরা করে বিহার যোগের প্রমাণ মিলেছে। তবে গুলি চালানো যুবক যুবরাজ আদৌ নাবালক নয়, উঠে আসে পুলিশের তদন্তে। তবে সবথেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য, যুবরাজকে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ভয় দেখাতে, খুন করতে নয়। সেই সঙ্গে যে যুবকের স্কুটিতে চেপে এসেছিল যুবরাজ, সেই যুবক ছিল আফরোজেরই ঘনিষ্ঠ। যুবরাজের সঙ্গে বিহার (Bihar) থেকে আসা দুই যুবককে অবশ্য শুক্রবার কাজে লাগানো হয়নি।

পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এই ঘটনার পর সরব হয়েছেন শাসক দলের নেতারা। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের পাশাপাশি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র করে এই রাজ্যে দুষ্কৃতী ও অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে। সেক্ষেত্রে পুলিশকে সেই ষড়যন্ত্র আটকাতে আরও সক্রিয় হতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরে রাজ্যের পুলিশ যথেষ্ট সক্রিয় হয়েছে রাজ্যে কড়া হাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে। কিন্তু আরও সতর্কতা দরকার। পরিস্থিতি থামানো দরকার। আর এই থামানোর কাজ নিশ্চিতভাবে পুলিশের।