মধ্যরাতে মহানগরীতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড।আগুন লাগে নিমতলা ঘাট (Nimtala Ghat) সংলগ্ন মহর্ষি দেবেন্দ্র রোডে কাঠের গোলায়, মুহূর্তের মধ্যে কয়েক হাজার বর্গফুট এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের ২০টি ইঞ্জিন রাত দেড়টা থেকে একনাগাড়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে চলেছে। আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়েছিল আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িতেও। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Bose)। শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী সকালেও জ্বলছে আগুন। তবে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন রাতে কাঠের গোডাউন থেকে বিস্ফোরণের শব্দ পান তাঁরা। দমকল এবং ডিএমজি কর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। একদিকে দাহ্যবস্তু অন্যদিকে গঙ্গার হাওয়ার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কীভাবে আগুন লেগেছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে, সুজিত বসু বলেন, কাঠের গোডাউনের মধ্যে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও কেন ব্যবসায়ীদের তরফে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি তা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাশি দমকল কর্মীদের হেনস্থা শিকার হতে হয়েছে বলেও দাবি করেন মন্ত্রী। দুর্ঘটনায় কারও প্রাণহানি না হলেও, আশপাশের একাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, প্রায় ১৭টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক শশী পাঁজাও (Sashi Panja) রয়েছেন দুর্ঘটনাস্থলে। ক্ষতিগ্রস্তদের আপাতত অস্থায়ীভাবে কমিউনিটি হলে রাখার ব্যবস্থা করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। আতঙ্ক এলাকা জুড়ে।



 
 
 
 


































































































































