বঙ্গ বিজেপিকে ‘নো এন্ট্রি’! সদস্য সংগ্রহে ব্যর্থতায় কড়া বার্তা দিল্লির

0
1

বঙ্গ বিজেপিকে এক মাসে এক কোটি সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল দিল্লি। কিন্তু সুকান্ত-শুভেন্দুরা সেই লক্ষ্যমাত্রার ধারে-কাছেও পৌঁছাতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। অন্তত ৫০ লক্ষ সদস‌্য সংগ্রহ না করতে পারলে দিল্লিতে মেম্বারশিপ পর্যালোচনা বৈঠকে বাংলা বিজেপি নেতাদের প্রবেশাধিকার থাকবে না।

 

২০ নভেম্বর দিল্লিতে মেম্বারশিপ পর্যালোচনা বৈঠক হবে বিজেপির। সেই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। অন্তত ৫০ লক্ষ সদস্য সংগ্রহ করতে হবে নভেম্বর মাসের মধ্যে। তা না হলে ‘নো এন্ট্রি’ বঙ্গ বিজেপি নেতাদের। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে থেকে এমনই কড়া বার্তা এসেছে বঙ্গ বিজেপি নেতাদের কাছে। ফলে মহা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বাংলার বিজেপি নেতারা। ১ কোটি সদস‌্য সংখ‌্যা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার ধারে কাছে পৌঁছনো তো সম্ভব নয়ই, বঙ্গ বিজেপির বড় অংশ মনে করছে, লক্ষ‌্যমাত্রার অর্ধেক সদস্য অর্থাৎ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দেওয়া নয়া টার্গেটেও পৌঁছানো সম্ভব হবে না। নভেম্বর মাসের মধ্যে সদস‌্য সংগ্রহের ১ কোটির টার্গেট দেওয়া হয়েছিল সুকান্তদের। কিন্তু বাংলায় বিজেপির সদস‌্যতা অভিযানের কাজ আশানুরূপ হয়নি। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে হতাশা প্রকাশ করেছেন সদস‌্য সংগ্রহের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক ঋতুরাজ সিং। তাঁর এই হতাশা ব্যক্ত করার পরই কেন্দ্রীয় বিজেপি তাদের রায় জানিয়ে দিয়েছে বঙ্গ নেতৃত্বকে নিয়ে। পরিস্থিতি সামলাতে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন রাজ‌্য নেতারা।

এই পরিস্থিতিতে ১০ নভেম্বরের পরে ফের রাজ‌্যজুড়ে বিশেষ সদস‌্য সংগ্রহ অভিযান হবে ১৭ নভেম্বর। ২৭ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সল্টলেকে এক অনুষ্ঠানে বাংলায় বিজেপির সদস‌্যতা অভিযানের সূচনা করেছিলেন। ওই দিন রাজ‌্যজুড়ে ৩৫ হাজারের বেশি সদস‌্য সংগ্রহ হয়েছিল। কিন্তু তার পর প্রতিদিন গড়ে ১৭ থেকে ১৮ হাজার সদস‌্য হয়েছে। ১০ নভেম্বর বিশেষ সদস‌্যতা অভিযানে ৭৩ হাজারের মতো সদস‌্য সংগ্রহ হয়েছে। দক্ষিণের জেলাগুলিতে গড়ে ২০ হাজার এবং উত্তরের জেলাগুলিতে গড়ে ৪০ হাজার সদস্য সংগ্রহ হয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত উত্তর ও দক্ষিণ মিলিয়ে ১৫ লক্ষের কাছাকাছি সদস‌্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে বঙ্গ নেতৃত্ব। এবার অ‌্যাপে গিয়ে ফর্মফিলাপ করলে তবেই সদস‌্য বলে ধরা হচ্ছে। মিসড কলে সদস্য সংগ্রহ এবার হচ্ছে না। এই অবস্থায় ২০ নভেম্বরের মধ্যে ৫০ লক্ষের ধারে কাছে পৌঁছনো কার্যত অসম্ভব। রাজ‌্য বিজেপি নেতারা অবশ্য আশাবাদী। তাঁরা লক্ষ্য পূরণ করতে সক্ষম হবেন। সুকান্ত-শুভেন্দুরা যাই বলুন না কেন, বিজেপির এই ব্যর্থতা প্রমাণ করে দিচ্ছে, সোশাল মিডিয়ায় বিজেপি নেতৃত্ব সরব হলেও বাংলার মাঠে ময়দানে তারা নেই। দিল্লির নেতৃত্বের কাছে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তার ফলেই বঙ্গ নেতৃত্বকে ‘নো এন্ট্রি’ কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে দিল্লি।

আরও পড়ুন- পাঁচদিনের তিন-দেশ সফরে মোদি, যোগ দেবেন জি-টোয়েন্টি সম্মেলনেও