মোদিরাজ্যে অ.মানবিকতা! সরকারি প্রকল্পের টাকার লোভে ৭ জনের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি, মৃ.ত ২

0
1

ভয়ঙ্কর ঘটনা গুজরাটের আহমেদাবাদের একটি হাসপাতালে। সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মস্যাৎ করতে নৃশংস আচরণ করলেন চিকিৎসক ও হাসপাতাল। সূত্রের খবর, গ্রামের সাধারণ মানুষদের ভুল বুঝিয়ে, রীতিমত জোর করে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করানো হয় হাসপাতালে। কিন্তু এবার অস্ত্রোপচারের পরে ২ রোগীর মৃত্যু হয়। ৫ জন আইসিইউ-তে ভর্তি। স্বাভাবিকভাবেই এমন এক নির্মম ঘটনার পর এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হাসপাতাল ভাঙচুর করা হয়। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই পলাতক অভিযুক্ত চিকিৎসক ও হাসপাতালের মালিক।

প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার সুবিধা পাওয়ার জন্য একপ্রকার জোর করে রোগীদের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করানোর অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, ১০ নভেম্বর ওই হাসপাতালের তরফে মহসেনা জেলার কাদির বোরিসানা গ্রামে একটি স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখান থেকে ১৯ জনকে বেশ কয়েকটি অন্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিকভাবে বলা হয়, বিনামূল্যেই যাবতীয় চিকিৎসা করানো হবে। হাসপাতালে এনে ১৯ জনের অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করা হয়। অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করানো হয় ৭ জনের। অস্ত্রোপচারের পরই মৃত্যু হয় ২ রোগীর। আইসিইউ-তে ভর্তি ৫ জন। ডাঃ প্রশান্ত ভাজিরানি নামের এক চিকিৎসক অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করেছিলেন বলে খবর।

মৃতদের পরিবারের তরফে অভিযোগ জানানো হয়, স্টেন্ট বসানোর পরেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। কোনও সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও অস্ত্রোপচার করানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, হাসপাতাল থেকে প্রথমে মৃত্যুর খবরও দেওয়া হয়নি। পরে জানতে পেরে গ্রামের মানুষরা হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। তারপর থেকেই ওই চিকিৎসক এবং হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্তারা পালিয়ে যায়। অভিযোগ পেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ডাঃ ভাবিন সোলাঙ্কি, স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান দেবাং দানি এবং প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী নিতিন প্যাটেল হাসপাতালে যান। হাসপাতালে সেই সময় কোনও চিকিৎসকই উপস্থিত ছিলেন না। হাসপাতালের আইসিইউতে মাত্র একজন চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। ২ বছর আগেও এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে একই কেলেঙ্কারির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। ফের একবার মোদীরাজ্যে এমন ঘটনার নিন্দায় সরব বিরোধীরা।

আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের মাধ্যমে অপারেশন, মুগ্ধ হুগলির স্কুল পড়ুয়ার পরিবার