বনগাঁ ও বসিরহাট মহকুমার বিস্তীর্ন অঞ্চলের মানুষকে প্লাবনের সমস্যা থেকে পাকাপাকি ভাবে মুক্তি দিতে রাজ্য সরকার ইছামতী নদী সংস্কারের কাজে হাত দিচ্ছে। ওই নদীর নাব্যতা হারানোর সমস্যার জেরে প্রতি বর্ষায় দুই মহকুমার বাসিন্দারা প্লাবনের কবলে পড়েন। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সহায়তা মেলায় রাজ্যের নিজস্ব তহবিল থেকেই এই সংস্কারের কাজ করা হবে বলে রাজ্যের সেচ দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কেন্দ্রের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পর জেলা প্রশাসন সমীক্ষার কাজ শেষ করেছে।সেচ, ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকরা নদী পরিদর্শন করেন।কীভাবে খনন হবে, তার রুটম্যাপ তৈরি হয়েছে। নদীতে কোন জায়গায় গভীরতা কত, তা মাপা হয়েছে। নাব্যতা কমে যাওয়ার প্রকৃত কারণ কী, তাও অনুসন্ধান করা হয়েছে। নদীকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কি করা প্রয়োজন তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই নদী সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে বলে দফতর সূত্রে জানা গেছে। দুই মহকুমার নিকাশি জল সাধারণভাবে – গিয়ে পড়ে ইছামতী, যমুনা, পদ্মা নদী ও গাজনা খালে। ভারী বৃষ্টি হলেই নদীর জল উপচে ভাসিয়ে দেয় লোকালয়। জলমগ্ন হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রতি বছর এই চেনা ছবি দেখা যায় দুই মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায়। অবশেষে সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন দুই মহকুমার মানুষ। সেচদফতরের পরিদর্শনে দেখা গিয়েছে, ইছামতীর তলদেশে পলি জমে পাঁচটি বড় ঢিবি তৈরি হয়েছিল। সেকারণেই বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিল নদীর স্বাভাবিক গতিবেগ। সেচদপ্তর সেই ঢিবির একাংশ কেটে সাফ করেছে। এর জন্য খরচ হয়েছে ৬০ লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুন- ধর্ষক তোমার কে হয়? সঞ্জয়ের পক্ষে এবার সরব CPIM-এর ‘ক্যাপ্টেন’ মীনাক্ষি!