কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে নিহত ১১ কুকি (Kuki) যুবক তাদেরই গ্রাম পাহারাদার (village volunteers), দাবি কুকি সংগঠনের। মনিপুর পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী জঙ্গি তকমা দেওয়ার কড়া বিরোধিতা করা হয় কুকি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে। সেই সঙ্গে দেশের সীমানা টপকে ভারতের মাটিতে সন্ত্রাস চালানো নিয়ে যে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে তার বিরোধিতা করা হয়েছে এই গোষ্ঠীর তরফে। প্রতিবাদে মনিপুরের একাধিক জেলায় বুধবারও বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। বনধ (bandh) সমর্থন করেছে ১৩টি নাগরিক সংগঠন (civil organisation)।
সোমবার জিরিবাম (Jiribam) জেলার অসম লাগোয়া সীমান্তের গ্রামে হামলা চালায় কুকি (Kuki) জঙ্গিরা। বরোকেবরা পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ক্যাম্পের উপর হামলা চালালে গুলির লড়াইতে মৃত্যু হয় ১১ কুকি জঙ্গির। সেনাবাহিনীর তরফে সেই জঙ্গিদের ছবি প্রকাশিত হওয়ার পরেই ফের নতুন করে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয় জিরিবাম জেলায়। মঙ্গলবার কুকি (Kuki), জোমি (Zomi), হোমার (Hmar) গোষ্ঠীর ডাকে বনধ হয় সর্বাত্মক। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে যে যুবকরা মারা গিয়েছে তারা কুকি গ্রাম পাহারাদার (village volunteers) বলে স্বীকার করার দাবিও জানানো হয়। সেনার পক্ষ ক্ষমা না চাওয়ায় জিরিবাম সহ কুকি অধ্যুষিত জেলাগুলিতে আবারও অশান্তি ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়ছে।
শুক্রবার সন্দেহভাজন মেইতি (Meitei) গোষ্ঠীর হামলায় হোমার (Hmar) গোষ্ঠীর এক শিক্ষিকার ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের ঘটনার পরে পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত হতে শুরু করে। পাল্টা কুকিরা সোমবার হামলা চালালে দুই মেইতি প্রৌঢ়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সেই সঙ্গে ১৩ মেইতির নিরুদ্দেশ হওয়ার দাবি করা হয়। যার মধ্যে দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরে পাঁচজনকে খুঁজে পাওয়া যায়। পুলিশের দাবি এখনও তিন মহিলা ও তিন শিশু নিখোঁজ, যার মধ্যে একটি দু বছরের শিশুও রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী, অসম রাইফেলস (Asam Rifles) ও মনিপুর পুলিশ তাঁদের খোঁজে তল্লাশি জারি রেখেছে বলেও দাবি করা হয় পুলিশের তরফে।
তবে কুকি যুবকদের মৃত্যুর ঘটনায় ১৩ টি নাগরিক সংগঠন (civil organisations) প্রশ্ন তুলেছে মনিপুর প্রশাসনের দিকে। যখন হোমার (Hmar) গ্রামে হামলা চালিয়ে খুন ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটেছে তখন প্রশাসনিক পদক্ষেপ কেন দেখা যায়নি, প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে সম্পূর্ণ অসহযোগিতার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।