বাস-রেষারেষির বলি পড়ুয়া: দুর্ঘটনা রুখতে কড়া নির্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর, ১৪ তারিখ বৈঠকের ডাক

0
4

সল্টলেকে ২’টি রেষারেষিতে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় সময় পাহাড়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই তাঁর কাছে খবর যায়। অত্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। দুর্ঘটনা বেড়ে চলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে পাহাড় সফর থেকেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে (Snehashis Chakraborty) ফোনে বৈঠক ডাকার নির্দেশ দেন তিনি। সেই মতো ১৪ নভেম্বর সল্টলেকের উত্তরায়ণে সবপক্ষকে নিয়ে বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহনমন্ত্রী। সেই বৈঠকে কলকাতার পুলিশ কমিশনর, রাজ্য পুলিশের (Police) ডিজি, সব সরকারি ও বেসরকারি বাস (Bus) সংগঠন, ট্রাক অ্যাসোসিয়েশন, পাশাপাশি অটো ইউনিয়নকেও থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচিতে অনেক আগে থেকেই দুর্ঘটনা রুখতে সচেতনতার বার্তা দিয়ে আসছে রাজ্য সরকার। তারপরও দুর্ঘটনায় চলে যাচ্ছে প্রাণ। এই পরিস্থিতিতে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখমন্ত্রী। স্নেহাশিস (Snehashis Chakraborty) জানান, ঘটনায় এতটাই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, যে বাসের রেষারেষি দ্রুত বন্ধ না হলে আইন এনে বেপরোয়া চালকদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় খুনের মামলা রুজু করারও প্রস্তাব দিয়েছেন। যদিও দেশের মধ্যে নিরাপদতম শহরের তকমা পেয়েছে কলকাতা। কিন্তু একজনের মৃত্যুও কাম নয়। সেই কারণে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।

আরও খবর: সোশ্যাল মিডিয়ায় চন্দ্রবাবুদের ছবি পোস্ট, এফআইআর দায়ের পরিচালকের বিরুদ্ধে

এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, দু’জন যদি চালক ঠিক করে রেষারেষি করবেন বা কোনও একজন চালক যদি ঠিক করে নেন ওভারটেক করবেন, সেখানে পুলিশের পক্ষে সেই বাসকে থামানো অসম্ভব। বেপরোয়া গাড়ি চালানোর বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কর্তব্যরত পুলিশের বক্তব্য শুনতে হবে। তিনি বলেন, সল্টলেকের ঘটনায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকার। পরিবহণ মন্ত্রীর নেতৃত্বে সেই বৈঠক হবে। সেখানে রাজ্য পুলিশের প্রধান থাকবেন, পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরাও থাকবেন বৈঠকে।

এ প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকেও একহাত নেন কুণাল। বলেন, চণ্ডীপুরে ওনার কনভয়ে একজন মারা যাওয়ার পরও উনি গাড়ি না থামিয়ে চলে গিয়েছিলেন, একবার নেমেও দেখেননি। তাই বিরোধী দলনেতার কোনও মন্তব্য করা শোভা পায় না। কারও মৃত্যু কাম্য নয়, এটা একেবারেই বিক্ষিপ্ত ঘটনা।