বাংলার মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন বিজেপি কোনও নির্বাচনেই নিজেদের উপযোগিতা মানুষের কাছে প্রমাণ করতে পারেনি। উপনির্বাচনে (by election) একটি মাত্র জেতা আসনও হারানোর পথে শুভেন্দু বাহিনী। পায়ের তলার মাটি খুঁজতে সেই ধর্মীয় তাস খেলা শুরু করেছেন বিরোধী দলনেতা (leader of opposition)। নির্বাচনের ঠিক আগে এভাবে উত্তেজনা তৈরির অপচেষ্টার বিরুদ্ধে এবার নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) দ্বারস্থ রাজ্যের শাসকদল। তাঁরা দেখা করবেন রাজ্য মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের (Chief Election Commissioner) সঙ্গে।
নির্বাচনী প্রচারে কোনও উন্নয়নমূলক কথা নেই বিজেপির। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের ধারার কাছে মুখে কুলুপ এঁটে যাওয়া শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে এনে বাংলার মানুষকে উসকানি দিচ্ছেন। নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করে ধর্মীয় সুড়সুড়ানি দিয়ে উত্তেজনা তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। তাঁর প্ররোচনামূলক (provocative) মন্তব্যের প্রতিবাদে সোমবার রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (Chief Election Commissioner) অফিসে ডেপুটেশন (deputation) দেবে তৃণমূল। তৃণমূলের প্রতিনিধি দলে থাকবেন মন্ত্রী শশী পাঁজা, তৃণমূলের রাজ্য সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার ও প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ।
জয়প্রকাশ মজুমদার জানান, নির্বাচনী বিধি অনুয়ায়ী কোনও রাজনৈতিক দল প্রচারে ধর্মীয় বিভাজনমূলক কথা বলতে পারেন না। কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিরোধী দলনেতা সেই কথা বলে মানুষকে উসকাচ্ছেন নির্বাচনের আগে। তাই তাঁর বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সোমবার নির্বাচন কমিশনে আমরা এই কথাই তুলে ধরব। শুভেন্দুর বক্তব্যের ভিডিও তুলে দেওয়া হবে নির্বাচন কমিশনে। এই ধরনের উক্তি বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক। তাই তাঁকে সেন্সর করার দাবিও জানানো হবে।