বিশুদ্ধ হচ্ছে শহরের বাতাস, দূষণ রোধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে পুরসভা

0
3

প্রতিবছরই কালীপুজোর ঠিক পরের সময়টা বাতাসের গুণমানের অবস্থা বেশ শোচনীয় হয়ে পড়ে। তার উপর শীতের শুরুতে শুষ্ক আবহাওয়ায় বাতাসে বেড়ে ওঠা ধূলিকণার পরিমাণও চিন্তার কারণ হয়ে ওঠে। তাই শীত আসার আগেই শহরের বায়ুদূষণ রুখতে ব্যবস্থা নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে কাজ শুরু করেছে পুরসভার বিভিন্ন বিভাগ। ইতিমধ্যেই তার ফলও হাতেনাতে পাওয়া গিয়েছে। রবিবার সকালে কলকাতার সার্বিক বাতাসের গুণমান সূচক নেমে এসেছে ১০০-এর নিচে, যা যথেষ্ট সন্তোষজনক। উৎসব পরবর্তী সময়ে এত তাড়াতাড়ি শহরের বাতাসের গুণমানের এতটা উন্নতি এই প্রথম।

শনিবার শীতের শুরুতে বায়ুদূষণের মাত্রা কমাতে বিশেষ বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বৈঠকে পুর-কমিশনার ধবল জৈন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিল্ডিং, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও উদ্যান বিভাগের আধিকারিকরা। দূষণ ঠেকাতে মিস্ট ক্যানন, স্প্রিংকলারের ব্যবহার বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। এদিন পুরভবনে টক টু মেয়র শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মহানাগরিক বলেন, কালীপুজোর পরে বাতাসে দূষণের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। মিস্ট ক্যানন স্প্রিংকলারের ব্যবহারে সেই দূষণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কলকাতার বাতাসের গুণমান আপাতত সন্তোষজনক। কিন্তু এতে আমি সন্তুষ্ট নই। তাই সমস্ত বিভাগকে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ কমাতে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগকে শহরের রাস্তাঘাট ধোয়ার কাজে জোর দেওয়ায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেসব এলাকায় গাড়ি বেশি চলে, সেখানে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত লাগাতার মিস্ট ক্যানন চালিয়ে ধুলো পরিষ্কার করতে হবে। একটার জায়গায় কাজ করতে হবে তিন শিফটে। পাশাপাশি উদ্যান বিভাগকে শহরের সমস্ত পার্ক ও রাস্তার ধারের গাছপালায় জল ছিটিয়ে ধুলো পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও বিল্ডিং বিভাগকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, নির্মীয়মান বিল্ডিংগুলিকে পুরোপুরি ঢেকে কাজ করতে হবে। নির্মাণের জন্য রাখা বালি, সিমেন্ট, স্টোনচিপও ঢেকে রাখতে হবে। ১০০ শতাংশ ঢাকা না থাকলে নির্মাণকাজ বন্ধের নোটিশ দিতে হবে।

আরও পড়ুন- আন্তঃরাজ্য শিশু পাচার হদিশ সিআইডির, শালিমারে গ্রেফতার ২