পালাক্কড় উপনির্বাচনের আগে এবার কেরালার (Kerala) রাম-বাম জোট নিয়ে তোপ কংগ্রেসের। পালাক্কড় পুরসভাকে (Palakkad Municipality) এই অশুভ জোটের সবথেকে বড় উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরে জনবিরোধী নীতিকে দুষল কেরালা কংগ্রেস। নির্বাচনী প্রচারে এবার এই জোটের অশুভ আঁতাঁতকেই হাতিয়ার করা হচ্ছে। অবশ্য পাল্টা ওয়েনাড় (Wayanad) উপনির্বাচনে কংগ্রেস-বিজেপি জোটের দাবি তুলে সরব হয়েছে বামেরা।

লোকসভা নির্বাচনে I.N.D.I.A. জোটের স্বপ্ন যে সব রাজ্যে ধুয়ে মুছে গিয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল কেরালা। যেখানে ওয়েনাড়ে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) মতো হেভিওয়েট প্রার্থীর বিরুদ্ধে সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার স্ত্রী অ্যানি রাজাকে প্রার্থী করেছিল বামেরা। তবে সেই বিরোধের জের এখনও অব্যাহত। এবার পালাক্কড় লোকসভা উপনির্বাচনের (by-election) প্রার্থী ঘোষণার পরেই ফের যুযুধান বাম-কংগ্রেস। কেরালা কংগ্রেসের (Congress Kerala) তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, পালাক্কড় পুরসভায় যেভাবে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের শোষণ করে জিএসটি (GST) আদায় করা হয় তা একেবারেই কেন্দ্রের সরকারের শোষণের সঙ্গে সম-মনোভাবাপন্ন। বাম পরিচালিত পালাক্কড় পুরসভার এই শোষণের কথা কংগ্রেসের প্রার্থীর প্রচারের সময় অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। অথচ নির্বাচনী প্রচারে বাম বা বিজেপি প্রার্থীরা এই নিয়ে কোনও কথা বলছেন না।

এভাবেই একাধিক অপশাসনের ইস্যু নিয়ে যেখানে কংগ্রেস সরব হচ্ছে সেখানে বাম বা বিজেপির মুখে কুলুপ। এই গোপণ আঁতাঁতের অভিযোগ তুলে বাম-রাম জোটকে সিজেপি (CJP) অর্থাৎ কমিউনিস্ট জনতা পার্টি (Communist Janata Party) নাম দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। সেই সঙ্গে ভিডিও তৈরি করে আর্থিক লেনদেনের মধ্যে দিয়ে সিজেপির বন্ধুত্বকেও প্রমাণ করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
কংগ্রেসের এই অভিযোগের পরই হুঁশ ফিরেছে কেরালার বামেদের। সিপিআই-এর (CPI) দাবি, ওয়েনাড় বারবর সিপিআইয়ের শক্ত ঘাঁটি। তা জেনেও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে সেখানে প্রার্থী করা হয়েছে। এর পিছনে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতির পুরোনো অভিযোগকেই ফের খাঁড়া করার চেষ্টা করেছে বামেরা।








































































































































