রবিবার দুপুরে বীরভূমের সাঁইথিয়ায় বিনসে গ্রামে দুর্গাপ্রসাদ ভট্টাচার্য (Durga Prasad Bhattacharya)নামে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের বাড়িতে আচমকা বিস্ফোরণের ঘটনায় এক প্রতিবেশীর মৃত্যু হয়েছে। এরপরই অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর করেন এলাকাবাসী। রীতিমতো উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সাঁইথিয়া থানার পুলিশ (Saithia Police)। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত সিভিক। এলাকাবাসীর অভিযোগ সম্প্রতি দুর্গাপ্রসাদ অবৈধভাবে গ্যাস বেলুনের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। বিভিন্ন বাজারে ও মেলায় গিয়ে গ্যাস বেলুন বিক্রি করতেন তিনি। রবিবার দুপুরে বেলুনে গ্যাস ভরার জন্য স্থানীয় যুবক বিপত্তাড়ন বাগদীকে ফোন করে ডাকেন । কাজ চলাকালীন আচমকা বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে চারপাশ। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বিপত্তাড়ন। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে জনতা। সাঁইথিয়া থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে তাঁদের লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়।
গ্রামবাসীর অভিযোগ দুর্গাপ্রসাদ অবৈধভাবে ব্যবসা চালাচ্ছিলেন। এই ধরণের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করেননি তিনি। এমনকি এই ব্যবসার জন্য লাইসেন্স পর্যন্ত ছিলনা। নিহতের স্ত্রীর অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি। এর আগে কখনও এই ধরণের কাজ করেননি। আজ প্রায় জোর করেই তাঁকে ডেকে পাঠান অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে বিপত্তারণ যন্ত্র দিয়ে বেলুনে গ্যাস ভরছিলেন, সেই যন্ত্র আচমকাই ফেটে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে বাড়ির দরজা, জানলা পর্যন্ত উড়ে গিয়েছে। দুর্গাপ্রসাদের সামনেই বিপত্তারণের দেহ ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও তাঁকে বাঁচানোর কোনও চেষ্টা করেননি তিনি, এমনটাই অভিযোগ এলাকার মানুষের। তাঁরা বলেন বিপত্তারণের পরিবারের ভরণপোষণের সব দায়িত্ব নিতে হবে সিভিক ভলান্টিয়ারকে। অভিযুক্তকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসী, পুলিশ বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে রীতিমতো ধস্তাধস্তির জেরে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়।