উস্তির বিজেপি নেতা খুনে তৃণমূল কেন কোনও রাজনীতিরই যোগ নেই। ধর্ষণ থেকে বাঁচতে এক মহিলা খুন করেছেন পৃথ্বীরাজ নস্কর নামে ওই বিজেপি (BJP) নেতাকে। শনিবার, বিকেলে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই চাঞ্চল্য কর অভিযোগ করেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁর কথায়, একাধিক সম্পর্কের জটিলতাই এই রহস্যমৃত্যুর প্রকৃত কারণ। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টের পর ভিডিও বার্তাও দেন কুণাল। তিনি আশাবাদী, শীঘ্রই প্রকৃত অপরাধী ধরা পড়বে।
উস্তির বিজেপির পার্টি অফিস থেকে উদ্ধার হয় বিজেপি নেতা পৃথ্বীরাজ নস্করের (Prithwiraj Naskar) দেহ। পৃথ্বীরাজ বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ছিলেন। গত ৪ নভেম্বর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন বলে অভিযোগ পরিবারের। ৭ নভেম্বর উস্তি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। বিজেপির এই কার্যালয়টি গত চারদিন ধরে তালাবন্ধ ছিল। শুক্রবার রাতে, দলীয় কার্যালয়ের ভিতর থেকে বিজেপি নেতার দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ গিয়ে তালাবন্ধ দলীয় কার্যালয় থেকে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। বিবস্ত্র অবস্থায় পড়েছিল দেহটি। পোশাক পাশেই পড়েছিল। দেহে ছিল একাধিক আঘাতের চিহ্ন।
এর পরে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন,
“উস্তি থানা এলাকায় আটপাড়ায় বিজেপি অফিসেই বিজেপি নেতা পৃথ্বীরাজ নস্করের রহস্যময় মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপি মিথ্যা কথা বলছে। ওদের পার্টি অফিসেই ওদের নেতার মৃত্যু। ওরা সব জানে।
আমাদের কাছে সূত্রের খবর, একাধিক সম্পর্কের জটিলতায় খুন। মৃতদেহের যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন আছে। কোনো মহিলার সঙ্গে টানাপোড়েনে খুন। ধর্ষণের চেষ্টা রুখতে আঘাত করেছিলেন মহিলা। তিনি গ্রেপ্তার হতে পারেন। এসব কান্ড চলত ওই দলীয় কার্যালয়তেই।
এই হল বিজেপি আর ওদের পার্টি অফিস।“
উস্তি থানা এলাকায় আটপাড়ায় বিজেপি অফিসেই বিজেপি নেতা পৃথ্বীরাজ নস্করের রহস্যময় মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপি মিথ্যা কথা বলছে। ওদের পার্টি অফিসেই ওদের নেতার মৃত্যু। ওরা সব জানে।
আমাদের কাছে সূত্রের খবর, একাধিক সম্পর্কের জটিলতায় খুন। মৃতদেহের যৌনাঙ্গে…— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) November 9, 2024
এই ঘটনাকে রাজনৈতিক খুন (Murder) বলে অভিযোগ করেছে মৃতের পরিবার। তাদের অভিযোগের তির অবশ্য বিজেপির দিকেই। দলের অন্তর্কলহেই ওই নেতাকে প্রাণ দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। পরিবারের অভিযোগ, এটা রাজনৈতিক খুন। বিজেপি নিজেদের পিঠ বাঁচাতে আজগুবি গল্প ফেঁদেছে। তারা বলছে, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের ওই কর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করে দলীয় কার্যালয়ে দেহটি ফেলে রেখেছিল। জবাবে তৃণমূল জানিয়েছে, তৃণমূল তুলে নিয়ে গিয়ে বিজেপির অফিসে দেহ ফেলে দিয়ে এল আর কেউ জানতেই পারল না! নিজেদের দোষ ঢাকতে এখন এসব বানানো গল্প সামনে আনছে বিজেপি।