বিচারহীন! সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) মাত্র একদিন আগে আর জি কর মামলায় সিবিআই (CBI) তদন্তে আস্থা রেখে পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে। সোমবার থেকে নিম্ন আদালতে ট্রায়াল হওয়ার সম্ভাবনা ধর্ষণ-খুনের মামলায়। তার দুদিন আগে বিচারহীন দাবি তুলে ফের রাজপথে জুনিয়র চিকিৎসকদের ফ্রন্ট (West Bengal Junior Doctors Front)। বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন এমন অদ্ভুত দাবি নিয়ে চিকিৎসক সংগঠনের পথে নামার ঘটনায় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি রাজ্যের শাসকদল। এভাবে পথে নামাকে বাম ও অতিবাম রাজনৈতিক ফায়দা তোলার মানুষদের কর্মসূচি বলে দাবি প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষের।
আর জি করের জঘন্য ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর থেকে কলকাতা পুলিশ তদন্তে নামে। তাদের হাতে গ্রেফতার একমাত্র অভিযুক্তকেই কাঠগড়ায় তুলেছে নির্যাতিতার পরিবারের আস্থাভাজন সিবিআই (CBI)। সেই তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের আস্থা নিয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ কুণাল ঘোষের দাবি, “বিচার প্রক্রিয়া চলছে, মনিটর করছে সুপ্রিম কোর্ট। আপনাদের তো আইনজীবী ছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট কোথাও অসঙ্গতি দেখতে পায়নি। দোষীর শাস্তির প্রক্রিয়া আইনের পথেই চলছে। বিচারহীন, আর কবে হবে এই কথার মানে কী?”
সুষ্ঠু তদন্ত চলার পরেও পথে নেমে চিকিৎসকদের আন্দোলন ও সিবিআই তদন্তে প্রশ্ন তোলা চিকিৎসকদের কটাক্ষ কুণালের। তাঁর দাবি, “সুপ্রিম কোর্ট আস্থা রেখেছে এখনও পর্যন্ত যেভাবে চার্জশিট (chargesheet), চার্জ ফ্রেম, ট্রায়ালের পথে চলে গিয়েছে তাতে কোনও অসঙ্গতি নেই। এখন আমরা যে গল্প তৈরি করেছিলাম, আমাদের ডাক্তারদের মধ্যে যে গোষ্ঠীবিন্যাস, তাঁরা যাঁদের উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে গায়ে কাদা লাগিয়ে বধ করতে চাইছেন তাদের নাম তদন্তে না এলেই আমরা মানব না।”
আর জি কর ইস্যুতে রাজ্যের নাম দিল্লি পর্যন্ত কালিমালিপ্ত করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। অথচ এই আন্দোলনের নামে তাঁদের আর্থিক নয়ছয় নিয়ে তাঁদের একবারও মুখ খুলতে দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে ঠিক কোন কারণে বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে ফের চিকিৎসকদের মিছিল। সেই প্রসঙ্গে কুণালের দাবি, “বিচারের দাবিতে মিছিল বাম-অতিবামদের হতাশাগ্রস্ত সিপিএম ও প্ররোচনাদাতা অতিবামের রাজনৈতিক কর্মসূচি। যাদের দেশের সাংবিধানিক কাঠামোর উপর আস্থা নেই তারাই মিথ্যা প্রচার ও অরাজকতা করতে নেমেছে।”