“পুলিশ তোমার কীসের ভয়, ধর্ষক তোমার কে হয়?” এই প্রশ্ন তোলা সিপিআইএমই এখন ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে আদালতে লড়াই করার পরিকল্পনা করছে! স্যোশাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক দাবি করলেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। R G Kar-কাণ্ডে প্রথম থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানায় বামেরা। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে যখন তদন্ত করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মূল অভিযুক্ত হিসেবে সিভিক ভলেন্টিয়র সঞ্চয় রাইকে রেখে চার্জ গঠন করে, তখন সেটা নাপসন্দ কমরেডদের। কারণ, সঞ্জয়কে ঘটনা ঘটার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধরে ছিল কলকাতা পুলিশ। যে ধর্ষক-খুনী ফাঁসির দাবিতে এতদিন রাজপথে এত আন্দোলন করল বামেরা, সেই সঞ্জয় দোষী সাব্যস্ত হয়ে মৃত্যুদণ্ড পেলে, তার বিরোধিতা করবে তারা! শুধু তাই নয়, সেই আদেশের বিরোধিতায় উচ্চতর আদালতে আবেদন জানাবেন CPIM-র আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya)। শনিবারের বারবেলায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (X-Handle) এই বিস্ফোরক দাবি করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) দাবি করেছেন,
“সূত্রের খবর: বিচারে ধর্ষণ ও খুনে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রাইয়ের ফাঁসির আদেশ হলে ঊর্ধ্বতর আদালতে ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে সঞ্জয়ের পক্ষে লড়বেন সিপিএমের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।“
সূত্রের খবর: বিচারে ধর্ষণ ও খুনে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রাইয়ের ফাঁসির আদেশ হলে ঊর্ধ্বতর আদালতে ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে সঞ্জয়ের পক্ষে লড়বেন সিপিএমের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) November 9, 2024
আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের নৃশংস ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিভিক ভলেন্টিয়র সঞ্জয় রাইকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু মৃতার বাবা-মায়ের আর্জির ভিত্তিতে তদন্ত যায় সিবিআইয়ের কাছে। এই বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যরাই পতাকা ছেড়ে গণ আন্দোলনের নামে মানুষের আবেগকে উস্কানি দিতে পথে নেমেছেন। ধর্ষকের ফাঁসি চেয়েছেন। স্লোগান তুলেছেন, “পুলিশ তোমার কীসের ভয়, ধর্ষক তোমার কে হয়?” দীর্ঘ সময় পার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরাও জানান, মূল অভিযুক্ত সঞ্জয়ই। সেই মতো চার্জ গঠন হয়েছে শিয়ালদহ আদালতে। ১১ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন শুনানি হবে। এর পর থেকেই এখন সঞ্জয়ের পক্ষ নিতে শুরু করেছেন এতদিন ধর্ষকের ফাঁসি দাবিতে সরবরা! এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে তাঁরা কার পক্ষে? ধর্ষকের? নাকি নিজেদের মনমতো কাউকে ধরে ধর্ষক সাব্যস্ত করে তার ফাঁসি চান? এর কিছুই যদি না হয়, তাহলে কীসের ভিত্তিতে সঞ্জয় রায় দোষী সাব্যস্ত হলে, তার হয়ে লড়াইয়ের পরিকল্পনা করেছন বিকাশরঞ্জনরা? ধর্ষক সিপিএম-এর কে হয়? এখন এই প্রশ্ন অনেকের।