অরাজনৈতিক বৈঠকের আড়ালে ‘রাজনৈতিক’ কর্মসূচি! ফাঁস হতেই বাতিলে বাধ্য হল সিপিএম

0
1

অরাজনৈতিক কর্মসূচির আড়ালে রাজনৈতিক পরিকল্পনার ছক। পার্টি অফিসেই বৈঠক ডাকে সিপিএম! বামের বৈঠকে যোগ দিতে ডাকা হয়েছিল বিজেপিকেও (BJP)। ময়দান রাজনীতিমুক্ত করণের নামে অরাজনৈতিক সভার প্রস্তুতি বৈঠকের খবর ফাঁস হয়ে যেতেই রণে ভঙ্গ দিল সিপিএম! বাতিল হয়ে গেল গণ-কনভেনশন। জনে জনে ফোন করে এই কর্মসূচিতে আসতে নিষেধ করা হয়েছে, যাঁদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল প্রস্তুতি বৈঠকে।

আক্ষরিক অর্থেই বিনোদনের বিষয় হয়ে উঠতে চলেছিল সিপিএম (CPIM) পার্টি অফিসের এই ‘অরাজনৈতিক’ সভা। কিন্তু ফাঁস হয়ে যেতেই নতুন এই নাটকের চিত্রনাট্যের খসড়া আর প্রস্তুত করা গেল না। বাতিল হয়ে গেল কনভেনশন। কী অদ্ভুত সমীকরণ! অরাজনৈতিক সভা, সিপিএম পার্টি অফিসে বৈঠক, আবার বিজেপিকে সঙ্গে থাকার ডাক! শনিবার এই মর্মেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ‘ব্রেকিং নিউজ’ দিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তারপরেই ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা সিপিএমের।

তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ এদিন ফেসবুক ও এক্স বার্তায় লেখেন, সূত্রের খবর, ময়দান রাজনীতিমুক্ত করার ডাক দিয়ে ১২ তারিখ গোষ্ঠ পালের মূর্তির সামনে যে ‘অরাজনৈতিক’ সভার প্রচার ফেসবুকে হচ্ছে, তার প্রস্তুতিতে আজ শনিবার দুপুর একটায় সিপিএমের কলকাতা জেলা দফতর প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে একটি জরুরি ও গোপন বৈঠকের আয়োজন হয়েছে। সিপিএমের পতাকা ছাড়া, তিন প্রধানের জার্সি পরিয়ে কিছু কমরেডকে ওইদিন হাজির করার চেষ্টা চলছে। যে সিপিএমের (CPIM) একাধিক বড় নেতা ইস্টবেঙ্গল-সহ বিভিন্ন ক্লাব ও ক্রীড়া সংগঠনের পদে ছিলেন, তাঁরা এখন ছদ্মবেশে ময়দান অরাজনীতিকরণের কথা বলছে। আজ বৈঠকে ফৈয়াজ আমেদ খান-সহ কিছু নেতা থাকার কথা। থাকবেন হেদুয়া-সহ দু-চারটি এলাকার সিপিএম সংগঠকরা। সূত্রে আরও খবর, ১২ তারিখ সঙ্গে থাকার জন্য এঁদের একটি অংশ বিজেপির উত্তর কলকাতা জেলার কিছু নেতার সঙ্গে কথা বলছেন। সমস্যা হল, বিজেপি নিজেরাই তো এআইএফএফ শীর্ষপদ দখল করে বসে আছে। যাই হোক, সিপিএম অফিসে বসে সিপিএমের নেতা ও ক্যাডাররা, যাঁরা একসময়ে ময়দানে নানা পদে, তাঁরা আজ নাটকের কোন চিত্রনাট্যের খসড়া করেন, সেটা ভারী বিনোদনের বিষয়।