প্রতিদিন রেল দুর্ঘটনা নতুন নয়। লাইন থেকে রেলের কামরা পড়ে যাওয়া বা একই লাইনে দুই ট্রেনের মুখোমুখি চলে আসায় বারবার রেলের সমন্বয়ের অভাব স্পষ্ট হয়েছে। এবার সেই সমন্বয়ের অভাবে মর্মান্তিক মৃত্যু হল রেলকর্মীর। এমনকি ইঞ্জিন (engine) ও বগির মাঝে প্রায় দুঘণ্টা পড়ে রইল সেই মৃতদেহ। ঘটনার পরই নিয়োগ না করে অল্প সংখ্যক কর্মী দিয়ে অনেক কাজ করানোর বিরোধিতায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন রেলকর্মীরা।
বিহারের বারৌনি (Barauni) জংশনের মতো স্টেশনে প্রতিদিন প্রায় নয়টি সেকশনে ট্রেন যাতায়াত করে। ব্যস্ত এই স্টেশনে ট্রেনের ডি-কাপলিং (de-coupling) পদ্ধতি নৈমিত্তিক ঘটনা। শনিবার লক্ষ্ণৌ-বারাউনি এক্সপ্রেস প্ল্যাটফর্মে আসার পরে সান্টিংয়ের (shunting) জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। অমর রাউত নামে এক কর্মী ইঞ্জিন ও বগির মাঝে নেমে কাপলিং (coupling) খুলতে যান। সেই সময় সিগনাল না থাকা সত্ত্বেও ইঞ্জিন পিছনে নিতে শুরু করেন চালক। মর্মান্তিকভাবে দুই বাম্পারের (bumper) মাঝে পড়ে মৃত্যু হয় অমরের।
ঘটনার পরই পালিয়ে যান ট্রেনের চালক। ইঞ্জিন সরানোর টানাপোড়েনে প্রায় দুঘণ্টা ওভাবেই পড়ে থাকে দেহ। একদিকে ট্রেন চালকের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন রেলকর্মীরা। সেই সঙ্গে তাঁদের দাবি, কাপলিং (coupling) খোলার কাজে খাতায় কলমে চারজন কর্মী মঞ্জুর করা থাকলেও রেলকর্মীর স্বল্পতার জন্য বারৌনির (Barauni Jn.) মতো স্টেশনে অর্ধেক লোক থাকেন। দুজন কর্মী নিয়ে কাজ করার জন্য এভাবে মৃত্যু হল ৩৫ বছরের রেলকর্মীরা, দাবি বিক্ষোভরত কর্মীদের।