যোগীরাজ্যে আজব প্রস্তাব! মহিলা গ্রাহকদের ‘ছোঁবেন’ না পুরুষ দর্জি-পার্লারের কর্মীরা

0
5

এ যেন মাথা ব্যথা সারাতে মাথা কেটে ফেলার প্রস্তাব! মহিলাদের সঙ্গে বেড়ে চলা হেনস্থা রুখতে আজব নিদান উত্তরপ্রদেশের (Utter Pradesh) রাজ্য মহিলা কমিশনের (State Women Commission)। ২৮ অক্টোবর মহিলাদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা নিয়ে যোগী রাজ্যে মহিলা কমিশনের একটি বৈঠক হয়। সেখানে প্রস্তাব দেওয়া হয়, মহিলাদের জামাকাপড়ের মাপ কোনও পুরুষ দর্জি নিতে পারবেন না। এমনকী, নয়, সেলোঁ বা পার্লারে (Parlour) কোনও মহিলার চুলও কাটতে পারবেন না পুরুষ কর্মী। কমিশনের চেয়ারপার্সন ববিতা চৌহানের এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন কমিশনের সদস্যরাও।

দেশ-বিদেশে যুগ যুগ ধরে মহিলাদের পোশাক তৈরি করছেন পুরুষ দর্জিরা। সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়-সহ দেশের এমন অনেক বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার আছেন, যাঁরা শুধু মহিলাদের পোশাকই তৈরি করেন। দেশের অলিগলিতে টেলারিং শপে রয়েছেন পুরুষ দর্জি। কিন্তু যোগীরাজ্যে সেই নিয়েও ফতোয়া। রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্য হিমানী আগরওয়াল জানান, ২৮ অক্টোবর সেই বৈঠকে কমিশনের চেয়ারপার্সন ববিতা চৌহান প্রস্তাব রাখেন, মহিলাদের পোশাকের মাপ একমাত্র মহিলা দর্জিই নেবেন। শুধু তাই নয়, সেলোঁ বা পার্লারে মহিলা গ্রাহকদের কোনও পুরুষ কর্মী পরিষেবা দিতে পারবেন না। শুধু মহিলা কর্মীরাই পরিষেবা দেবেন। এই প্রস্তাবে সকলেই সম্মতি দিয়েছেন বলে জানান ওই সদস্য।

মহিলা কমিশনের যুক্তি, এই ধরনের পেশায় মহিলা গ্রাহকেরা না কি পুরুষদের দ্বারা হেনস্থার শিকার হন। অনেক সময় আপত্তিকর ভাবে মহিলাদের স্পর্শ করার চেষ্টাও করা হয়। এই প্রস্তাব যোগী সরকারের কাছে পাঠিয়ে আইন আনার জন্য অনুরোধ করা হবে বলেও জানিয়েছেন হিমানী।

এর পরেই এই প্রস্তাব ঘিরে তীব্র সমালোচনা ছড়িয়েছে। বিরোধীদের মতে, উত্তরপ্রদেশে (Utter Pradesh) একের পর এক ধর্ষণ-খুন-শ্লীলতাহানির ঘটনায় দেশে মুখ পুড়েছে যোগী সরকারের। এই অবস্থা সামল দিতে না পেরে- এবার আজব ফতোয়া জারি করার কথা ভাবছে রাজ্য। অনেকে আবার একে তালিবানি শাসনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। বর্তমানে আফগানিস্তানে যে ভাবে মহিলাদের সব স্বাধীনতা কেড়ে গৃহবন্দি করা হচ্ছে- এই ধরনের প্রস্তাব তারই প্রথম পদক্ষেপ বলে মত অনেকের। এখন এই প্রস্তাবে যোগী সরকার সাড়া দেয় কি না সেটাই দেখার।