বাংলাদেশ (Bangladesh) ফের অশান্ত। চট্টগ্রাম কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে ফের। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশকে কড়া বার্তা দিল ভারত (India)। দিল্লির তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, হিন্দু (Hindu)-দের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে অবিলম্বে। চট্টগ্রামের হিংসা (Violence)-র প্রতিবাদে সরব হয়েছেন ওপার বাংলার সংখ্যালঘু (Minority) হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাও। তাঁদের বিক্ষোভ দমনে নামানো হয়েছে সেনাবাহিনী (Army) ও পুলিশ (Police)।
চট্টগ্রামের হিংসা পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়ে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তারপর বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক সাংবাদিক বৈঠকেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের চট্টগ্রামে হিন্দুদের উপরে হামলার খবর পেয়েছি। সেখানে লুঠতরাজ চলছে। ভাঙচুর হচ্ছে দোকান-বাজার। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ররোচনামূলক বার্তা ছড়ানো হচ্ছে। ফলে হিন্দুরা সেখানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য অবিলম্বে গঠনমূলক পদক্ষেপ করুন। ব্যবস্থা নিন উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে।
গত ৫ নভেম্বর থেকে চট্টগ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। একটি ফেসবুকে পোস্টকে ঘিরে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। ইসকনের পুরোহিত ও হিন্দুদের নিয়ে এক মুসলিম ব্যবসায়ী ফেসবুকে উসকানি দেন। ইসকনকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করার দাবিও তোলেন। তারপরই পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান হিন্দুরা। সেই বিক্ষোভ তুলতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে পুলিশ ও সেনার সঙ্গে। হাজারি গলির বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে হিন্দুদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুলিও চলে। প্রশ্ন ওঠে, এ কেমন ‘স্বাধীন’ বাংলাদেশ? যেখানে অত্যাচারিত হন সংখ্যালঘুরা! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরব হওয়ার পর হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে এবার আলাদা করে বিবৃতি দিল নয়াদিল্লি।
আরও পড়ুন- জ.ঙ্গি হানা অব্যাহত কাশ্মীরে! এবার ২ গ্রামরক্ষীকে অ.পহরণ করে খু.ন