সরকারিতে কর্মবিরতি ডেকে বেসরকারিতে স্বাস্থ্যসাথী থেকে কোটি কোটি কামিয়েছেন চিকিৎসকরা

0
1

সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতির জেরে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন রাজ্যের গরিব মানুষেরা। রোগীর পরিবার হাতে-পায়ে ধরলেও ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে কর্মবিরতির ধুয়ো তুলে। অথচ এই কর্মবিরতির অছিলায় বিপ্লবী ডাক্তাররা বেসরকারি হাসপাতালে, নার্সিংহোমে গিয়ে চুটিয়ে রোগী দেখেছেন, অপারেশন করেছেন। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে রোগীদের মারফত কোটি কোটি টাকা রোজগার করেছেন।

জুনিয়র ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশনের একাংশের এহেন কাণ্ড কারখানা প্রসঙ্গে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ সেই তথ্য তুলে ধরলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে একটি তথ্যে দেখা যাচ্ছে, শুধুমাত্র মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেরই ৫ সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার স্বাস্থ্যসাথীতে রোজগার করেছেন ৫৪.৩৯ কোটি টাকা। এই ডাক্তাররা হলেন— সমুদ্র গুপ্ত, নাসিম মণ্ডল, অভিষেক চক্রবর্তী, বিপুল রায় ও কৃষ্ণেন্দু বেরা। নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে কর্মবিরতি করা জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির সময় টপ ৫ সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার স্বাস্থ্যসাথীতে কামিয়েছেন ১.৮৮ কোটি টাকা। তথ্য বলছে, বর্তমানে রাজ্যে ৩,৩২৯ জন সিনিয়র রেসিডেন্ট কাজ করছেন। এর মধ্যে ৯ অগাস্ট থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৫৬৩ জন সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার কর্মবিরতির সময় বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করেছেন। যেগুলি স্বাস্থ্যসাথী তালিকাভুক্ত। এরা মোট ৭৩,৯০৫টি কেসের চিকিৎসা করেছেন। যার খরচ ৫৪.৩৯ কোটি টাকা। সর্বোপরি এই সময়কালে স্বাস্থ্যসাথীতে রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছে মোট খরচ হয়েছে ৪৩০ কোটি টাকা। এখানেই শেষ নয়, এই তথ্য শুধু বিপ্লবী সেজে রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করে দেওয়ার ও সেইসঙ্গে নিজেদের পকেট ভরার নমুনা মাত্র। এরপর কী বলবেন বিপ্লবীরা? সেই প্রশ্নও তুলেছে তিনি।

আরও পড়ুন- আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণ, সংখ্যা কমে দাঁড়াবে ২৮-এ