মুখ্যমন্ত্রীর শিঙাড়া-চুরি! হিমাচল প্রদেশে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ

0
2

শিঙাড়া চুরিতে সিআইডি তদন্ত। আর তা নিয়েই শোরগোল হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh)। তবে, যার তার জন্য আনা শিঙাড়া নয়, এই জলযোগ আনা হয়েছিল স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর জন্য। সঙ্গে ছিল কেকও। কিন্তু কোনওটাই মুখ্যমন্ত্রী প্লেট পর্যন্ত পৌঁছয়নি। তার আগেই হাওয়া। কোথায় গেল? খুঁজতে ভার গিয়েছে CID-র উপর। তবে, কিছু হদিস মিলেছে। জানা গিয়েছে, সুখবিন্দর সিং সুখুর (Sukhbindar Singh Sukhu) জন্য আনা শিঙাড়া-কেক খেয়েছেন তাঁরই নিরাপত্তারক্ষীরা। কীভাবে এই ভুল হল! তদন্তে নেমেছে সিআইডি।

২১ অক্টোবর সিআইডির সদর দফতরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। সেখানে সাইবার শাখার উদ্বোধন করেন তিনি। একটি বিলাসবহুল হোটেল থেকে তাঁর জন্য শিঙাড়া এবং কেক আনানো হয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সেই জলখাবার পৌঁছয়ইনি। উল্টে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের মধ্যে সেই জলখাবার ভাগ করে দেওয়া হয়।

এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হিমাচলের (Himachal Pradesh)রাজনীতি। কেন মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আনা শিঙাড়া আর কেক প্রোটোকল মেনে তাঁর হাতে পৌঁছল না? কার ভুল? এটা কি ইচ্ছাকৃত গাফিলতি? উঠছে নানা প্রশ্ন। এমনকী বিরোধীদের ষড়যন্ত্রের তত্ত্বও তুলছেন কেউ কেউ। সিআইডি দফতরের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আনানো জলখাবার গায়েব হওয়ার তদন্তভার যায় তাদের উপরেই। ডেপুটি পুলিশ সুপার পদমর্যাদার এক আধিকারিককে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাঁর দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, সমন্বয়ের অভাবেই এই ঘটনা ঘটেছে।

রিপোর্টে অনুযায়ী, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক সাব ইনস্পেক্টরকে মুখ্যমন্ত্রী জন্য জলখাবার আনার নির্দেশ দেন আইজি পদমর্যাদার এক পুলিশ আধিকারিক। এসআই আবার তাঁর দায়িত্ব দেন এক অ্যাসিসট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টরকে। লক্কড় বাজারের নির্ধারিত বিলাসবহুল হোটেল সেই এএসআই ও এক হেড কনস্টেবল থেকে তিন বাক্স জলখাবার নিয়ে আসেন। তার পর এসআইকে বিষয়টি জানান। তার পর পর্যটন দফতরের কর্মীদের কাছে পুলিশ আধিকারিকরা জানতে চান, ওই জলখাবার কি মুখ্যমন্ত্রীর জন্য কি না? এ বিষয়ে কিছু জানতে পারেননি তাঁরা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোনও শীর্ষ আধিকারিককে না জিজ্ঞাসা করেই পরিবহন দফতরে সেই খাবার পাঠিয়ে দেন এসএআই। সেখান থেকে সেই জলখাবার চলে যায় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের কাছে। এই গোলমালে সমন্বয়ের অভাবকেই রিপোর্টে দায়ী করা হয়েছে। সিআইডি এই ঘটনাকে ‘সরকার-বিরোধী’ বলেও উল্লেখ করেছে।