জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন শেষ হয়ে গিয়েছে। তীব্র শ্লেষ দাগলেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। বৃহস্পতিবার এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যারা ভেবেছিল সলিড খেলা খেলেছে, তারা ভাবেনি নিহত ডাক্তারি পড়ুয়ার পরিবার অমিত শাহকে চিঠি লিখবেন। আর অমিত শাহ দেখাও করবেন না নিহত ডাক্তারি পড়ুয়ার মা-বাবার সঙ্গে। পত্রাঘাতের জায়গায় পদাঘাত করে চলে যাবেন। আন্দোলনটা শেষ হয়ে গিয়েছে তখনই।
মদন মিত্র আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের জায়গায় আবার ফিরে এসেছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন, ধরনা, অনশনে যতই ইন্ধন জোগানো হোক, এই আন্দোলন শেষ। অমিত শাহ পত্রাঘাতের পরিবর্তে পদাঘাত করে আন্দোলনের কফিনে শেষ পেরেক পুতে দিয়ে চলে গিয়েছেন। ওঁরা ভেবেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাথা নিচু করে বারবার জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনায় ছুটে যাবেন। আলোচনার জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে বসে থাকবেন। তারপরও ধৈর্য না হারিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ওরা বাচ্চা ছেলে। তাই তিনি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সহিষ্ণুতা দেখিয়েছেন। এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কিছু ভুঁইফোঁড় নেতা গজিয়ে উঠেছিল। তাঁরাও বুঝে গিয়েছেন, এতে কিছু হবে না। আন্দোলনটা শেষ হয়ে গিয়েছে।
আরজি করের নির্যাতিতা ও নিহত ডাক্তারি পড়ুয়ার নির্মম পরিণতির সুবিচার চেয়ে শহরজুড়ে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। জুনিয়র ডাক্তাররা লাগাতার ধরনা অবস্থানে শামিল হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের সেই আন্দোলনের অভিমুখ পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল। নির্যাতিতার সুবিচারের দাবির থেকেও আন্দোলন বেশি মাত্রায় রাজনৈতিক ফায়দা তোলার মঞ্চ হয়ে উঠেছিল। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে বারবার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ইন্ধন জুগিয়ে গিয়েছে। চেষ্টা করেছে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার। কিন্তু আদতে কোনও লাভই হয়নি বিরোধীদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহিষ্ণুতা দেখিয়ে প্রকৃত অভিভাবকের মতো জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.