বিয়ে মানে কী? বেশিরভাগ মানুষ উত্তরে বলবে, দু’জন মানুষের আইনি বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে জীবন কাটানোর স্বীকৃতি। কিন্তু এ দেশে চলছে অন্য এক ট্রেন্ড! এ এমন এক শুভপরিণয় যেখানে দূরত্বকে সঙ্গে নিয়েই মিলন। শুধুই আনন্দ। না আছে কোনও দায়–দায়িত্ব, না আছে কোনও ঝগড়াঝাঁটি।
জাপানে শুরু হয়েছে ‘সেপারেশন ম্যারেজ’ নামের অদ্ভুত এক বিয়ের ট্রেন্ড। এখনকার তরুণ তরুণীরা বিয়ে করছে একসাথে না থাকার শর্তে। শুধু মাঝে মধ্যে দেখা করা এবং ঘনিষ্ঠভাবে কিছুটা সময় কাটানো। সাধারণত, ছুটির দিনকেই বেছে নেওয়া হচ্ছে সময় কাটানোর জন্য৷। ঠিক যেন প্রেমপর্ব। কিন্তু এক্ষেত্রে বিয়ে হচ্ছে আইন মেনেই। তবে কেউ কারও বাড়িতে থাকছে না স্থায়ীভাবে। দু’জনেই স্বাধীন। উভয়েই উভয়ের খোঁজখবর রাখেন। কিন্তু কেউ কারও স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেন না। ফলে সংসারের মতো বাড়তি কোনও চাপও নেই৷
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাপানে জনপ্রিয় হয়ে উঠা এই সেপারেশন বিয়ের অনেক ইতিবাচক দিক রয়েছে। সাধারণত বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী দুজনের দায়িত্ব বেড়ে যায়। ব্যস্ততার কারণে তখন নিজেকেই সময় দেয়া সম্ভব হয় না। এর উপর যুক্ত হয় সংসারের বাড়তি চাপ। ফলে অনেক সময় সমস্যা দেখা দেয়। সেপারেশন বিয়ের ক্ষেত্রে এরকম কোন জটিলতা নেই। তাছাড়া একসাথে থাকলে স্বাভাবিক ভাবেই অনেক বিষয়ে মতের অমিল দেখা দেয়। সামান্য বিষয়ের ঝগড়া অনেক সময় চলে যায় বিবাহ বিচ্ছেদ পর্যন্ত। এজন্য বর্তমানে জাপানের তরুণ প্রজন্ম মনে করে, বিয়ের পর আলাদা থাকলে এসব সমস্যা এড়ানো সম্ভব হবে। বর্তমানে জাপানের পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও জনপ্রিয় হচ্ছে সেপারেশন ম্যারেজ।
আরও পড়ুন- সংখ্যালঘু দফতরের প্রধান উপদেষ্টা হলেন আব্দুস সাত্তার, বিজ্ঞপ্তি জারি নবান্নের